ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) স্বাধীনতাবিরোধী ‘শাহ আজিজুর রহমান’ হলের নাম পরিবর্তন করে ‘মাওলানা ভাসানীর’ নামে হলের নামকরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইবি সংসদ। শনিবার (৮ মার্চ) দুপুর দেড়টায় উপাচার্যের কাছে এই দাবি সংবলিত স্মারকলিপি জমা দেয় সংগঠনটি। উপাচার্যের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, শাহ আজিজুর রহমান একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনারও পরিপন্থী। এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তির নামে আবাসিক হলের নামকরণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্র ইউনিয়ন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ, ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী ও মানুষের অধিকার আদায়ের অগ্রনায়ক মাওলানা ভাসানীর নামে আবাসিক হলের নামকরণের দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি আবাসিক হল ও ১টি ভবনের নাম পরিবর্তন করা হলেও সেখানে মাওলানা ভাসানীর মতো জাতীয় নেতার নামে কোনো স্থাপনা রাখা হয়নি, যা দুঃখজন। তারা প্রশাসনের কাছে স্বাধীনতাবিরোধীর নাম পরিবর্তন ও মাওলানা ভাসানীর নামে আবাসিক হলের নামকরণের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, “শাহ আজিজুর রহমানের মতো একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর নামে আবাসিক হলের নামকরণ জাতির জন্য এক কলঙ্কজনক সিদ্ধান্ত। কারণ তিনি ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আবদুল মোতালেব মালিকের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন এবং রাজস্বমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।”
তিনি আরও বলেন, “তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছিলেন। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই নাম পরিবর্তন করুন। একই সঙ্গে এই হলের নাম মাওলানা ভাসানী রাখার দাবি জানাচ্ছি।”
সংগঠনের নেতারা আরও বলেন, মাওলানা ভাসানী ছিলেন একজন প্রকৃত গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল নেতা। তার নামে হলের নামকরণ হলে তা হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য।