দেশব্যাপী ধর্ষনের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন


ইবি প্রতিনিধি
: দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইন হেনস্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

সোমবার (১০ মার্চ) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ‘ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই’ ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়৷ 

এ সময় আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের হাতে বিভিন্ন প্লেকার্ডে— ঘরে বাইরে কর্মক্ষেত্রে, নারী থাকুক নির্ভয়ে; ধর্ষকের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না; আমার বোনের কান্না, আর না আর না; ধর্ষকের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না; উই ওয়ান্ট জাস্টিস; আমার বোন ধর্ষিত কেন, ইন্টেরিম জবাব দে; ধর্ষকের কোনো ক্ষমা নাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই; তনু, তানিয়া নুসরাত, আছিয়া তারপর কে? ইত্যাদি দেখা যায়।

এ সময় ইবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ধর্ষনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি। এরপরে যেন এরকম ধর্ষণের কোনো ঘটনা না ঘটে, এই আশা ব্যক্ত করছি।’

ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা দাবি জানাচ্ছি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। ৯০ দিনের মধ্যে বিচার কার্যক্রম শেষ ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। সারা বাংলাদেশে ধর্ষণের সিরিজ চলছে। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মনে হচ্ছে, দেশে সরকার নাই। সংস্কারের নামে তালবাহানা চলছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিভিন্ন চেয়ারে বসাচ্ছে কারা? কতো টাকার বিনিময়ে বসানো হচ্ছে?’ 

এছাড়াও তিনি বলেন, ‘বর্তমান ডক্টর ইউনূসের নেতৃত্বে যে সরকার আছে, আমরা তাদের ব্যর্থ হতে দেব না। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ড আমাদের পছন্দ হচ্ছে না। আমি শুনেছি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মধ্যরাতে কোনো কোনো শিক্ষক আমার বোনদের ফোন দেয় ও মেসেজ পাঠায়। আমি সাংবাদিক ভাইয়ের মাধ্যমে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে অনুরোধ জানাবো যে, আপনি বিষয়টি দেখেন। সারা বাংলাদেশে শুধু পঞ্চগড়, হরিনাকুন্ড নয়; বরং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দ্বারাও শিক্ষার্থী বোনরা হেনস্তা হচ্ছে।’

নবীনতর পূর্বতন