ইসরায়েলেই অনশন শুরু করেছেন আটক ফ্লোটিলার অভিযাত্রীরা

ইসরায়েলেই অনশন শুরু করেছেন আটক ফ্লোটিলার অভিযাত্রীরা

অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া সব নৌযান ও অভিযাত্রীদের আটক করেছে দখলকার ইসরায়েলি বাহিনী। আটক ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র সেই অভিযাত্রীরা ইসরায়েলেই অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছেন।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) কমিটি এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলের নৌবাহিনী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা মিশনের নৌযানগুলো, ক্রু ও অভিযাত্রীদের আটক করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছেন মিশনের অভিযাত্রীরা।’

ফ্লোটিলা মিশনটি গত ৩১ আগস্ট স্পেনের একটি বন্দর থেকে গাজার উপকূলের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল। মিশনের মূল লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া। এই অভিযানে ৪৩টি নৌযান অংশগ্রহণ করেছিল।

গত ৩১ আগস্টে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজায় খাদ্য ও ওষুধবাহী ৪৩টি নৌযান পাঠানোর ঘোষণা দেয় এফএফসি জোট। এ মিশনের নাম দেওয়া হয় ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’।

সুইডেনের নাগরিক ও আন্তর্জাতিক পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ও রাজনীতিবিদ মান্ডলা ম্যান্ডেলাসহ ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক ছিলেন সেই মিশনে। এ নাগরিকদের কেউ পার্লামেন্টারিয়ান, কেউ আইনজীবী, কেউ রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী ও কেউ স্বেচ্ছাসেবী।

গত ৩১ আগস্টে স্পেনের বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। কিন্তু গাজার জলসীমার কাছে পৌঁছানোর পরপরই একটি ব্যতীত সব নৌযান আটক করে ইসরায়েলের নৌবাহিনী। নৌযান, ক্রু ও আরোহীদের ইসরায়েলের বন্দরে নেওয়া হয়।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া সর্বশেষ নৌযানটিও আটক করেছে দখলকার ইসরায়েলি বাহিনী। যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি উপকূলের কাছে ইসরায়েলি কমান্ডোরা বলপূর্বক এ জাহাজে প্রবেশ করে সেটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এ নৌযানটির নাম ‘দ্য ম্যারিনেট’। এতে ছয়জন আরোহী ছিলেন। যাদের মধ্যে তুরস্কের অধিকারকর্মী সিনান আকিলতু অন্যতম।

নবীনতর পূর্বতন