বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ২০২৩-২০২৪ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা প্রথম হয়েছেন নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা শিক্ষার্থী আমির হামজা আসিফ। আসিফের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব থানায়। তার বাবার নাম মো. খোরশেদ আলম। তার মায়ের নাম সুরাইয়া আলম। আসিফের বাবা একজন ব্যবসায়ী। আসিফের তার শৈশব কাটিয়েছেন ঢাকার উত্তরাতে।
তার মাধ্যমিকে পড়াশোনা ছিল রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ। এরপর ভর্তি হন নটর ডেম কলেজে। ছোটোবেলা থেকেই লেখাপড়া বিষয়ে মা-বাবার অনুপ্রেরণায় ছিল সব সময়। তিন ভাইয়ের মাঝে দ্বিতীয় তিনি। তার বড় ভাই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়েন।
বড় ভাইকে দেখেই আসিফের ইচ্ছে জাগে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। সেই থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন কলেজে পড়াকালীন সময় থেকে। বর্তমানে তিনি টেক্সটাইল প্রকৌশল শিক্ষার সেরা প্রতিষ্ঠান বুটেক্স ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন।
প্রথম হওয়ায় আপনার অনুভূতি কি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দ্যা ডেইলি পাবলিকিয়ানকে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, যখন জানতে পারি প্রথম হয়েছি তখন প্রথমেই মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি।
ওই অনুভূতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। তারপর মা-বাবা ও আমার ভাইদেরকে জানাই। জানার পর সকলেই অনেক আনন্দিত হয়। তারপর আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের জানাই, সকলেই অনেক অনেক খুশি হয় ও আমাকে অভিনন্দন জানায়।
চান্স পাওয়ার জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন প্রশ্নে তিনি বলেন, নটর ডেম কলেজে চান্স পাওয়ার পর থেকেই নিজের চারপাশে এতো মেধাবীদের দেখে শুরু থেকেই ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত হই এবং শুরু থেকেই নিয়মিত পড়াশোনা করতে থাকি। ফলে একাদশের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষায় আমি ২১০০ জনের মধ্যে ৭৬তম হই। পরবর্তীতে নিজের পরিশ্রম আরো বাড়িয়ে দেই ফলে বার্ষিক পরীক্ষায় আলহামদুলিল্লাহ আমি ৩৩তম হয়ে যাই। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে দ্বাদশ শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষায় আমি ২৪তম হই পুরো কলেজে। কলেজে নিয়মিত উপস্থিত থেকে ক্লাস করা ও নিয়মিত কুইজ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজের প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে সক্ষম হই এবং নিজের অবস্থান জানতে পারি। সর্বোপরি কলেজ লাইফের শুরু থেকেই নিয়মিত পড়াশোনা করার ফলেই আলহামদুলিল্লাহ এই সাফল্য লাভ করতে পেরেছি।
ভর্তি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা কিভাবে পড়বেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই এইচএসসি লাইফের প্রথম থেকেই নিজের লক্ষ্য স্থির করে নিতে হবে এবং শুরু থেকেই নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। নিজে নিজে পড়ার অভ্যাস রাখতে হবে এবং অনেক বেশি প্র্যাকটিস করতে হবে। দিনে কতক্ষণ পড়বেন এটা নির্দিষ্ট না করে, নিজের প্রতিদিনের পড়া শেষ হওয়া অবধি পড়াশোনা করার অভ্যাস করতে হবে। তাহলেই আমি মনে করি ভালো ফলাফল করা সম্ভব।
তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি, জানতে চাইলে বলেন, ভবিষ্যতে আমার একজন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা এবং দেশ ও জাতির জন্যে মঙ্গলজনক কিছু করার ইচ্ছা। আমার স্বপ্ন যেন সত্যি হয় তার জন্য সকলের কাছে আমি দোয়াপ্রার্থী।