যবিপ্রবিতে বারির কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবনী সেমিনার ও প্রদর্শনী

যবিপ্রবিতে বারির কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবনী সেমিনার ও প্রদর্শনী

যবিপ্রবি প্রতিনিধি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ‘কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা (এমএমডি) প্রকল্প’-শীর্ষক কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবনী সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে ‘কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবনী প্রতিভা অন্বেষণ’ শীর্ষক এই সেমিনার ও স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে কৃষিযন্ত্র প্রদর্শনী মেলার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় এবং যবিপ্রবির এগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি (এপিপিটি) বিভাগের সহযোগিতায় এই সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ হলেও আমাদের কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত এখনো কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এসব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে দেশের মানুষের অন্ন, বস্ত্র ও চিকিৎসার মৌলিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশে পণ্য সামগ্রী রপ্তানি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। তিনি বলেন, কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে কৃষিতে আবাদ বাড়বে, জীবাণুমুক্ত ফসল উৎপাদন হবে এবং কৃষকরা উপকৃত হবে। এর ফলে আমাদের দেশ আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে। আমি আশা করি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট তাদের গবেষণা কেন্দ্রগুলো আমাদের ছাত্রদের জন্য উন্মুক্ত করবে। এতে ছাত্রদের গবেষণার সুযোগ বাড়বে এবং আমাদের কৃষক ভাইয়েরাও উপকৃত হবেন, যা দেশের কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। কৃষি শিক্ষা এবং মৎস্য গবেষণা সংক্রান্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব বিভাগ রয়েছে, তারা যেন একত্রে কাজ করে। এতে আমাদের ছাত্রদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানও উন্নত হবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, যশোরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাওছার উদ্দিন আহম্মদের সভাপতিত্বে সেমিনারে যবিপ্রবির জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, এপিপিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুব্রত মন্ডল, প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মীর মোশাররফ হোসেন, এপিপিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুল আলম, মো. আখতারুজ্জামান, প্রভাষক মো. আশরাফুল আলমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

 সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফএমডি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ নূরুল আমিন।
নবীনতর পূর্বতন