বিজয় দিবসে রাজধানীতে ছাত্রশিবিরের শোভাযাত্রা

বিজয় দিবসে রাজধানীতে ছাত্রশিবিরের শোভাযাত্রা
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
সোমবার সকাল ৯টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রাটি। ঢাকা মহানগর ছাত্রশিবির এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে।

শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।

শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এ জাতি সামাজিক ন্যায়বিচারের কোনো দৃশ্য এখন পর্যন্ত দেখেনি। সামাজিক অধিকার, মানবিক অধিকার, সাম্য ন্যায় এবং ইনসাফ থেকে এ জাতি বঞ্চিত ছিল। এখনো বঞ্চিত রয়েছে, যা আমরা দেখতে দেখতে স্বাধীনতার ৫৪ বছরের পদার্পণ করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতার মূল কথা ছিল ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে পরিচালনা করা। কিন্তু সেই ঐক্য বিনষ্টে আওয়ামী দুঃশাসন বাকশাল স্বৈরশাসক এদেশের মানুষের মধ্যে এক বিভেদের দেয়াল চাপিয়ে দিয়ে এই জাতিকে খণ্ড বিখণ্ড করে দেয়া হয়েছে।”

শিবিরের সভাপতি বলেন, “ভারতীয় আগ্রাসন আধিপত্যবাদ বিশ্বের বিভিন্ন আগ্রাসন এই জাতিকে নানা দিক থেকে ঘিরে রেখে অগ্রযাত্রায় বারবার থামিয়ে দিয়ে তারা এ জাতিকে পিছিয়ে ফেলেছে। আমরা চেয়েছিলাম একটি মানবিক দেশ, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। আমরা দেখেছি বিগত আওয়ামী দুঃশাসন তার আগে বাকশাল। সবকিছুর মূলে ছিল কেউ তার মত প্রকাশ করতে পারবে না। মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মিডিয়ার টুটি চেপে ধরে শুধুমাত্র নিজেদের দলীয় গুণগান ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাইনি।”

মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে যেভাবে ছাত্র-জনতা অংশ নিয়েছিল, মাঠে নেমেছিল, আমরা চাই স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসেও সেই যাত্রা শুরু হোক। তার প্রথম সূচনা হতে হবে ২৪ এ যারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে এর মূল হোতা যারা ছিল তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।”

শোভাযাত্রায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্র, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নবীনতর পূর্বতন