বাকৃবি যেন অশ্লীলতার এক সাম্রাজ্য

বাকৃবি যেন অশ্লীলতার এক সাম্রাজ্য
বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বহিরাগতদের অনৈতিক কার্যকলাপ ক্রমশ বেড়ে চলেছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য চরম অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন, বৈশাখী চত্বর, আমবাগান, টিএসসি লেকের পাড়, নদীর পাড় এবং মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মাঠ বহিরাগতদের দখলে চলে গেছে। এসব স্থানে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে দিনে দুপুরে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা হচ্ছে। সন্ধ্যার পর কিছু জায়গায় মাদকের আড্ডাও জমে। পরিত্যক্ত ফেনসিডিলের বোতল ও জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পোশাক পরিহিত শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে এসে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্যাম্পাসের এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ছবি ও ভিডিও প্রায়ই ভাইরাল হচ্ছে, যা ক্যাম্পাসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।

জানা যায়, প্রতিদিন কয়েকশত দর্শনার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসে। ছুটির দিনগুলোতে সংখ্যাটি ছাড়ায় সহস্রাধিক। অনেক দর্শনার্থী অশ্লীলতার অভয়ারণ্য হিসেবে বেছে নেয় ক্যাম্পাসকে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়ছেন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে, অন্যদিকে কেউ হচ্ছেন ইভটিজিংয়ের শিকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী তাদের ভীতি ও অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন। 

বাকৃবির প্যারাসাইটোলজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফারাহ তাসফিয়া বলেন, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এটি খুবই বিব্রতকর। এগুলো শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে। আমার অনেক বান্ধবী বহিরাগতদের ইভটিজিংয়ের শিকারও হয়েছে। নিজ ক্যাম্পাসে এগুলো কিভাবে মেনে নেওয়া যায়? প্রশাসনের নজরদারি বলতে তেমন কিছুই দেখা যায় না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, বিষয়টা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্বিগ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সকলের জন্য খুবই বিব্রতকর। কিন্তু নিরাপত্তাকর্মী সংকট থাকা সত্ত্বেও আমরা ওই সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি। সামনে প্রক্টরিয়াল বডি আরও নিরাপত্তা জোরদার করবে।

বিষয়টি নিয়ে বাকৃবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, পরিদর্শনের সময় নিরাপত্তা কর্মীরা এমন কোন ঘটনা দেখলে তাদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নিদের্শ দেওয়া আছে।


/আসিফ ইকবাল

নবীনতর পূর্বতন