নতুন বছরের প্রথম প্রহরে পথশিশুদের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

নতুন বছরের প্রথম প্রহরে পথশিশুদের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা



শাহারিয়া আহমেদ নয়ন:
ঢাকা-উত্তরা, ১ জানুয়ারি, নতুন বছর উদযাপনের প্রচলিত ধারাকে ভেঙে উত্তরা ইউনিভার্সিটি ও সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা এক অনন্য মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। Astroworld Foundation-এর প্রথম কার্যক্রম হিসেবে, উত্তরা এয়ারপোর্ট থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত পথশিশু ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক কম্বল বিতরণ করেন। এই উদ্যোগে নেতৃত্ব দেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এবং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মো. আতিকুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও ফাউন্ডেশনের পাবলিক রিলেশন অফিসার শাহারিয়া আহমেদ নয়ন। এছাড়াও অদিত আরাবি এবং জাহিদ হাসান ভলান্টিয়ার কো-অর্ডিনেটর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।  
নতুন বছরের প্রথম প্রহরে পথশিশুদের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা


Astroworld Foundation-এর প্রেসিডেন্ট মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, “এটি আমাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। আমরা ছয়টি সেক্টরে কাজ করছি, যার মধ্যে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অন্যতম। ভবিষ্যতে পথশিশুদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষাদানের একটি প্রকল্প শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষা হলো দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তনের চাবিকাঠি। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ আকারে কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই।”  

শাহারিয়া আহমেদ নয়ন বলেন, “নতুন বছর মানেই নতুন ভাবনা। আমরা চাই আমাদের কাজ দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হোক এবং সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়াক। আতশবাজি কিংবা বিলাসিতার চেয়ে মানবিক উদ্যোগে যুক্ত হওয়া জরুরি। তিনি আরও বলেন, আতশবাজির বিকট শব্দ পরিবেশ দূষণ করে এবং এই প্রবণতা বদলাতে হবে। আমাদের উদযাপনে মানবিকতার ছোঁয়া থাকতে হবে। এমন পরিবর্তনই বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।”  

জাহিদ বলেন, “বিগত বছরের শেষ কিংবা নতুন বছরের শুরু দুই মিলিয়ে একটি চমৎকার রাত কাটানো হলো। এমন রাত বারবার ফিরে আসুক, যে রাতে আমরা আরও মানুষের হাসির কারণ হতে পারি।”  

মানবতার জন্য এমন উদ্যোগই, উদযাপনের প্রকৃত অর্থ মানুষের পাশে থাকা। Astroworld Foundation নতুন বছরের শুরুতে মানবিকতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
নবীনতর পূর্বতন