পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: আজ ৫ ফেব্রুয়ারি রোজ বুধবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) স্বাধীনতা চত্বরে ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইসিই) বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এক আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব। এই উৎসবে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকারা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশগ্রহণ করে উৎসবকে করে তোলে আরও প্রাণবন্ত।
গত ১ তারিখ থেকে ইইসিই বিভাগের ক্রিড়া সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই সাথে শিক্ষার্থীরা পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানটি সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ইইসিই বিভাগের শিক্ষর্থীদের দ্বারা পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর রঙিন আলোকসজ্জা, বর্ণিল ব্যানার এবং বিভিন্ন পিঠার স্টলে সেজে উঠেছিল। শীতের সকালে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রফেসর ড.শেখ রাসেল আল আহমেদ , যিনি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, "এ ধরনের আয়োজন আমাদের সংস্কৃতি চর্চা এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।"
উদ্ভোদন শেষে প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের উপদেষ্টা ড. রাশেদুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, বিজ্ঞান অনুষদের সম্মানিত ডিন। ব্যাবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রোক্টর ইইসিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতিন ইশরাক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী উপদেষ্টা প্রভাষক মোঃ ইমরান হোসেন। এছাড়াও উপস্তিত ছিলেন বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকগণ।
উৎসবে ছিল নানাবিধ ঐতিহ্যবাহী পিঠার সম্ভার, যেমন - ভাপা পিঠা, পাটি সাপটা, দুধ চিতই, নারকেল পুলি, চুিঙরি পিঠা, খেজুর রসের পিঠা এবং আরও অনেক বৈচিত্র্যময় পিঠা। প্রতিটি স্টল শিক্ষার্থীদের নিজস্ব উদ্যোগে তৈরি করা, যেখানে নিজ হাতে তৈরি পিঠার স্বাদ ও পরিবেশনায় ফুটে উঠেছিল তাদের সৃজনশীলতা।
উৎসবে অংশগ্রহণকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, "পিঠা উৎসব আমাদের জন্য শুধু আনন্দের আয়োজন নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্যকে নতুন করে জানার ও উপভোগ করার একটি অনন্য সুযোগ।"
এই পিঠা উৎসব ইইসিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলবদ্ধ কাজের মানসিকতা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং শীতের রঙিন মুহূর্তগুলো ভাগাভাগি করার এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে। আয়োজনটি সকলের জন্য এক স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে।