সংগীত কুমার, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘গণ ইফতার’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেল ৫টায় ক্যাম্পাসের দুটি স্থানে এই আয়োজন করা হয়। আয়োজনে মোট প্রায় ১৭শ' শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। আসরের নামাজের পর থেকেই ইফতার বিতরণের স্থানগুলোতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়।
জানা যায়, রমজান মাসে ইফতার আয়োজনকে সুশৃঙ্খল করতে এটি দুটি স্পটে ভাগ করা হয়। ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য স্পট-১ সাদ্দাম হলের সংলগ্ন ক্রিকেট মাঠ এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য স্পট-২ উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা সিদ্দিকা হলের সামনে আয়োজনটি করা হয়।
ইফতারে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বন্ধ ক্যাম্পাসে ইফতারের সময় অনেক শিক্ষার্থীরই সমস্যা হয়। হলের ডাইনিংয়ে ইফতারের সুবিধা না থাকায় এবং আশপাশের দোকানগুলোর খাবারের মান ভালো না হওয়ায় আমাদের অসুবিধা হয়। ছাত্রশিবিরকে অসংখ্য ধন্যবাদ শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করার জন্য।’
শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেন, ‘আজ প্রথমে ১২০০ এবং পরে তাৎক্ষণিকভাবে ৫০০ জনের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়। এর আগে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে ইফতারের আয়োজন করেছি। এরপর সাংবাদিকদের সাথে করা হবে, রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে গণইফতার কর্মসূচির আয়োজন করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। সামনেও এধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।’
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ইবি শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘রমাদানের সিয়াম সাধনা আমাদেরকে তাকওয়া, সংযম ও সহমর্মিতা শেখায়। সারাদিন সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে পাপাচারমুক্ত জীবন পরিচালনা করে দিন শেষে সবাই একসাথে ইফতার করতে পারার আনন্দটাই অন্য রকম। আমরা মনে করি, একসাথে ইফতার করার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। ইমান ও তাকওয়া আরও বলিয়ান হয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ে উজ্জীবিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একসাথে ইফতার মুসলিম সংস্কৃতির অন্যতম নিদর্শন। এই সংস্কৃতিকে ধারণ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হলে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইফতার আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’