প্রথমবারের মতো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে (কুড়িকৃবি) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় গত ১৬ জানুয়ারি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি)। বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রাশেদুল ইসলাম কুড়িগ্রামে পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সর্বসম্মতভাবে সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়।
কেন্দ্র অনুমোদনের ফলে উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের আর ঢাকায় এসে পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এতে তাদের যাতায়াতজনিত ভোগান্তি কমবে, আর্থিক ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং মানসিক চাপও হ্রাস পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
আরও পড়ুন ভিন্ন পরিবেশে শুরু এসএসসি পরীক্ষা, আশাবাদী অভিভাবকরা ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ছেলে পড়ার টেবিলে কম ছিল, তাই দুশ্চিন্তা’
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৮৬৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৯৪ হাজার ৩৬টি। গড়ে প্রতি আসনের জন্য প্রতিযোগিতা করবে প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী। কুড়িকৃবি কেন্দ্রে অংশ নেবে ৮৮৮৯ জন শিক্ষার্থী।
কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি), গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই আমরা এই কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিই। এতে তারা নিজ এলাকায় থেকেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে, যা তাদের জন্য একটি বড় সুবিধা।