নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪–এর এক বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে ‘জুলাই ৩৬ কর্ণার’। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের তৃতীয় তলায় সোমবার সকালে ফিতা কেটে এ কর্ণারের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, “সকল ধরনের অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে ছাত্র–জনতা আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে বিজয় অর্জন করেছে। আমার বিশ্বাস, ‘জুলাই ৩৬ কর্ণার’ সেই ঐতিহাসিক সংগ্রামের একটি স্থায়ী স্মারক হয়ে থাকবে। এ কর্ণার প্রজন্মের পর প্রজন্মকে গবেষণা ও অধ্যয়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধ ইতিহাস রচনায় অনুপ্রেরণা জোগাবে।”
তিনি আরও বলেন, যাদের কাছে নতুন তথ্য বা নথি আছে, তাদের এ কর্ণারে জমা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধের মতোই জুলাই–আগস্ট ২০২৪–এর গণঅভ্যুত্থান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পাশাপাশি তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানান, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার উদ্রেক না ঘটে।
উদ্বোধন শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুক্তি মো. আব্দুল হাকীম। পরে অতিথিরা ‘জুলাই ৩৬ কর্ণার’ পরিদর্শন করেন। সেখানে গণঅভ্যুত্থানের আলোকচিত্র, সংবাদপত্রের কাটিং, বইসহ নানা ধরনের দলিল–দস্তাবেজ রাখা হয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য ও উপস্থিত অতিথিরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের আশপাশে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, জুলাই গণঅভ্যুত্থান উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন সরকার এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. মো. আশরাফুল আলম।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, অগ্নি–বীণা হলের প্রভোস্ট মো. হারুনুর রশিদ, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আহমেদ শাকিল হাসমী, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান উদ্যাপন কমিটির সদস্য–সচিব মো. অলি উল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক ড. মোহা. আজিজুর রহমানসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।