বাকৃবিতে প্রায় ৫০ জন কৃষককে গাজর-টমেটোর বীজ ও চারা বিতরণ

বাকৃবিতে প্রায় ৫০ জন কৃষককে গাজর—টমেটোর বীজ ও চারা বিতরণ
বাকৃবি প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের প্রায় ৫০জন কৃষককে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যোগে প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে গাজর—টমেটোর বীজ ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।

রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় উদ্যানতত্ত্ব খামারে কৃষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সেন্টারের (বাউরেস) পরিচালক অধ্যাপক ড. এম হাম্মাদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো গোলাম রাব্বানী ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট এগ্রিকালচারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামান, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রুস্তম আলী, স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাংকের সহকারী পরিচালক দেবাশীষ ভট্টাচার্য ও উদ্যানতত্ত্ব বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। 

গাজর ও টমেটো গবেষণার প্রজেক্ট ইনভেস্টিগেটর ও উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, প্রতিকূল পরিবেশ, বিশেষ করে খরা বর্তমানে বাংলাদেশের একটি উদীয়মান হুমকি যা গাজর ও টমেটোর উৎপাদনশীলতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। বর্তমান বাজারে গাজর ও টমেটোর চাহিদা বৃদ্ধির তুলনায় কম প্রাপ্যতার কারণে দৈনন্দিন খাবারের পুষ্টিমানে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি এর ঘাটতি থেকে যায়। সুতরাং, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য প্রতিকূল পরিবেশে পুষ্টি—সমৃদ্ধ রঙিন গাজর ও টমেটোর উন্নয়ন ও প্রসারণই এই প্রকল্পের সামগ্রিক লক্ষ্য।

তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় দেশি—বিদেশি বিভিন্ন রঙের ৪০টি গাজরের জার্মপ্লাজম ও ২০টি টমেটোর জার্মপ্লাজম নিয়ে গবেষণা চলছে।  

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড.মো: হাম্মাদুর রহমান এই প্রকল্পের সফলতা কামনা করে বলেন, বেশি বেশি নতুন রঙের গাজর ও টমেটো চাষের মাধ্যমে কৃষক-কৃষাণীরা অধিক লাভবান হতে পারবে। এই ধরনের কর্মসূচীতে আরও অধিক কৃষকদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, এই দুটি রঙিন সবজির বাজার মূল্য ও চাহিদা অত্যন্ত বেশি। এছাড়া এদের চমৎকার পুস্টিগুণ রয়েছে। কৃষকদের এই সবজি দুইটি থেকে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি রয়েছে।  ভবিষ্যতে এমন কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে  ব্যাংকিং চ্যানেলগুলোকে আরো অধিকতর সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসতে হবে।


/আসিফ ইকবাল

নবীনতর পূর্বতন