বন্যাকবলিত অঞ্চলে কুরআন বিতরণ করছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

বন্যাকবলিত অঞ্চলে কুরআন বিতরণ করছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী এলাকায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসা, মসজিদ এবং ইসলামিক লাইব্রেরিগুলোতে পবিত্র কুরআনের কপি বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মানুষের পাশে দাঁড়াতে তারা এই মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। প্রাথমিকভাবে সাতটি মাদ্রাসা, দুটি মসজিদ এবং একটি ইসলামিক লাইব্রেরিতে মোট ১৫০টিরও বেশি পবিত্র কুরআনের কপি বিতরণ করা হয়েছে।
এই উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অর্থায়নে এবং শিক্ষকদের সহযোগিতায় চাঁদা সংগ্রহ করে পবিত্র কুরআনের কপিগুলো সংগ্রহ করেছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে এসব কপি বিতরণ করতে তারা স্বপ্রণোদিত হয়েছেন। উদ্যোগের অন্যতম অংশগ্রহণকারী একাউন্টিং বিভাগের ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মো. আসিফ রায়হান বলেন, “আমরা যখন কুরআনের কপি বিতরণ করছিলাম, সেই মুহূর্তগুলো আমাদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান ছিল। আল্লাহর বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার মতো মহৎ কাজের অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত। সামনে আরও ৭৫০ কপি বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কুরআনের শিক্ষার বিস্তার ঘটানো।”

বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে এই অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মাদ্রাসা, মসজিদ ও ইসলামিক লাইব্রেরিগুলোতে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার কারণে ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই প্রেক্ষাপটে, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই কুরআন বিতরণ কর্মসূচি ধর্মীয় শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর মানুষজন এই উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এবং মসজিদ কমিটিগুলো এ ধরনের সহায়তার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এই কুরআন বিতরণ কার্যক্রম ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি মানুষের মনোবল ফিরিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
নবীনতর পূর্বতন