বিজয়ের মাস ডিসেম্বর উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিজয় র্যালি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এতে নেতৃত্ব দেন। রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টায় র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হয়। পরে টিএসসি হয়ে ভিসি চত্বরে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
র্যালিতে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমদ, বিভিন্ন হলের উপাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে আজকের এ বিজয় দিবসের বিশেষ তাৎপর্য আছে। আমরা স্মরণ করছি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সৈনিকদের। তার সঙ্গে আমরা স্মরণ করছি বিভিন্ন গণজাগরণে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, মানুষের অধিকার আদায়ে যারা রক্ত দিয়েছেন- সেসব বীর শহীদদের। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা যে রক্ত দিয়ে আমাদের নতুন দিনে আবদ্ধ করেছেন, তাদের এ মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা স্মরণ করছি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কারণে আমাদের দায় এবং দায়িত্ব বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পেছনে যাওয়ার আর কোনো পথ নেই। সবাইকে নিয়ে এ বিজয়ের মাসের শুরুতে আমরা অঙ্গীকার করছি, আমরা দেশটাকে এগিয়ে নেব। আমরা যার যার পর্যায় থেকে দায়িত্ব পালন করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় সমাজ ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধ। আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে সামনে এগায়ে যেতে চাই। আমরা আশা করছি, আমাদের ভবিষ্যতে পথ চলা আরো সুগম হবে এবং সব বাধা-বিপত্তি ও ষড়যন্ত্র আমরা পেরিয়ে যাব।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইমা হক বিদিশা বলেন, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীনতার যুদ্ধেও প্রাণকেন্দ্র ছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়। বিজয়ের যে আনন্দ শুরু হয়েছে, তা যেন আমরা সব সময় ধরে রাখতে পারি। বিশেষ করে ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে আজকে যে বিজয় র্যালি, এর মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাব।