নারীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষাকল্পে ছাড়নীতি গ্রহনের দাবিতে ববি ছাত্রদলের স্মারকলিপি

নারীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষাকল্পে ছাড়নীতি গ্রহনের দাবিতে ববি ছাত্রদলের স্মারকলিপি

ববি প্রতিনিধি:
নারীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষাকল্পে তিনটি ছাড়নীতি ও উদ্যাগ গ্রহনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড.শুচিতা শরমিনের নিকট একটি স্বারক লিপি ও মানববন্ধন করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতাগত ন্যায্যতা বিধান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নারীর মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। আমাদের দেশে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে নানান আলোচনা ও দৃশ্যগত উদ্যোগ দেখা গেলেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এমনিতেই একজন নারী শিক্ষার্থীকে একজন পুরুষ পুরুষ শিক্ষার্থীর তুলনায় সামাজিক ভাবে অতিরিক্ত বাধা অতিক্রম করে এ পর্যায়ে পৌছাতে হয়। কিন্তু সুযোগ সুবিধা প্রদানে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকটি যথাযথ বলে বিবেচিত হচ্ছে না বলে স্বারক লিপিতে উল্লেখ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. সুচিতা শরমিন বলেন এর আগেও আমি নারীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করেছি নিরাপদ নারীদের ক্যাম্পাস বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাবো নারীদের পাশাপাশি ছেলেদের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল নওরিন উর্মি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অনেকেই দেখেছি প্রসূতি থাকাকালীন নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষার অংশগ্রহণে বেগ পাচ্ছেন। সন্তানের দেখাশোনার জন্য রেগুলার ক্লাসে পিছিয়ে যাচ্ছেন। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অন্তত যৌক্তিক সমতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হোক। এ লক্ষ্যে নারীর শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু ছাড়-নীতি প্রয়োগ করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। স্বল্প খরচে বেবি কেয়ার সার্ভিস চালুর ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ।অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের জন্য এটেন্ডেন্সের হার সর্বোচ্চ ৪০% নির্ধারণ। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে এমন উদাহরণ সৃষ্টি করা গেলে সারা দেশেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আমরা আশাবাদী। 

সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী, মোসা: মরিয়ম বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল কর্মী এমনিতেই একজন নারী শিক্ষার্থীকে একজন পুরুষ শিক্ষার্থীর তুলনায় সামাজিকভাবে অতিরিক্ত বাঁধা অতিক্রম করে এ পর্যায়ে পৌঁছতে হয়। অথচ তারা পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে সমান অবদান রেখে চলেছে। কিন্তু সে অনুপাতে সুযোগ ও সুবিধা প্রদানে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকটি যথাযথভাবে বিবেচিত হচ্ছে না বলে মনে করছি আমরা।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য, শান্ত ইসলাম আরিফ মনেকরেন, বয়স, লিঙ্গ নির্বিশেষে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে একতাবদ্ধ হয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গীর আলোকে নারীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য অধিকার দাবি করা উচিৎ, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এধরণের কাজের জন্য এগিয়ে আসা উচিৎ।  
ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, 
শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার পাশাপাশি নারী শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য এটি নির্ভর করে সামাজিক, অর্থনৈতিক পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপর। নারী স্বাস্থ্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সব সময়ই বৈষম্যের শিকার। আমাদের এ প্রয়াস নারীদের প্রতি বৈষম্য বিমোচনের জন্য। 

আরও উপস্থিত ছিলেন, শান্ত ইসলাম আরিফ, আজমাইন সাকিব, মাহমুদ ইমরান, জিহাদ খলিফা,কাফি,মোসাঃ মরিয়ম, রিফাত মাহমুদ,সাজ্জাদ হোসেন, রবিউল খান, হাবিবুর রহমান,মিরাজ,সাকিব মিয়া,রাহিকুল ইসলাম, আরাফাত, রিফাত, শুভ্র, মিধুল সহ প্রমুখ ছাত্রদলের নেতাকর্মী।
আরও উপস্থিত ছিলেন, শান্ত ইসলাম আরিফ, আজমাইন সাকিব, মাহমুদ ইমরান, জিহাদ খলিফা,কাফি,মোসাঃ মরিয়ম, রিফাত মাহমুদ,সাজ্জাদ হোসেন, হরবিউল খান, হাবিবুর রহমান,মিরাজ,সাকিব মিয়া,রাহিকুল ইসলাম, আরাফাত, রিফাত, শুভ্র, মিধুল সহ প্রমুখ ছাত্রদলের নেতাকর্মী।
নবীনতর পূর্বতন