পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: ২৩ জানুয়ারি রোজ বৃহষ্পতিবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিখা এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত "শহীদ জাহিদ-নিলয় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট" অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এই টুর্নামেন্টটি শুধুমাত্র একটি খেলা নয়, বরং এটি ক্যাম্পাসে একটি ঐক্যবদ্ধ ও উদ্দীপনাময় পরিবেশ সৃষ্টির অনন্য উদাহরণ।
আজকের ফাইনাল ম্যাচে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ কামরুজ্জামান, চেয়ারম্যান ব্যাবসায় প্রশাসন বিভাগ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন " আমরা এখন স্বাধীন। আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়াব।আমাদের শিক্ষার্থীরা এরকম খেলার আয়োজন করে আমাদের মুগ্ধ করে। এখন আমাদের কেও শত্রু নেই। আমরা সকলেই এক সাথে এরকম আয়োজন করব সবাই সবার পাশে দাড়াবো। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন এরকম আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি করে। আমরা সকলেই সকল ভেদাভেদ ভুলে একসাথে এরকম ভালো উদ্যোগ নিব ইনশাআল্লাহ। "
শহীদ নিলয়ের পিতা মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, "আমার ছেলে নিলয় ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন খেলা খুব পছন্দ করতো। তাকে আমরা ঘরে আটকিয়ে রাখতে পারতাম না। আমি চ্যাম্পিয়ন টিম কে অনেক অভিনন্দন জানাই সেই সাথে যারা রানার্সআপ হয়েছে তাদের কেও অভিনন্দন জানাই। আশা করি পরবর্তীতে তোমারা ভালো কিছু করবে।"
এবারের টুর্নামেন্টে বিভিন্ন প্রতিযোগী দল চমৎকার পারফরম্যান্স প্রদর্শন করলেও শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বাধন ও প্রত্যয় এবং রানার্সআপ হয়েছে ইউ আর পি বিভাগের হিমেল ও শোভন। বাধন ও প্রত্যয় এর অসাধারণ দক্ষতা, কৌশল, ও নির্ভুল সমন্বয় পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে সকলের নজর কেড়েছে।
টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি ছিল অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ। প্রতিটি পয়েন্টের জন্য বাধন ও প্রত্যয় লড়াই করেছে আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ় মনোবল নিয়ে। শেষ মুহূর্তের অসাধারণ পারফরম্যান্স তাদের চ্যাম্পিয়নের মুকুট ছিনিয়ে আনতে সহায়তা করে।
টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে শিখা এসোসিয়েশনের সভাপতি তৌহিদ রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেহেরফ হোসেন এবং শহীদ মাহবুবুর হাসান নিলয়ের পিতা সহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক সহ বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তারা তাদের বক্তব্যে এই ধরনের আয়োজনকে নিয়মিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ওপর জোর দেন।
বাধন ও প্রত্যয় তাদের জয়কে শহীদ জাহিদ ও নিলয়ের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করে। তারা বলেন, "এই জয় শুধুমাত্র আমাদের নয়; এটি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের। ভবিষ্যতে আমরা আরও বড় পরিসরে নিজেকে মেলে ধরতে চাই।"
উৎসাহজনক এই আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করেছে এবং শিখা এসোসিয়েশনের এমন আয়োজন আরও উন্নত ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়েছে।
এই টুর্নামেন্ট শুধু একটি খেলার আয়োজন নয়, বরং এটি বন্ধুত্ব, শৃঙ্খলা, ও পারস্পরিক সহযোগিতার একটি প্রতীক হয়ে থাকবে। বাধন ও প্রত্যয়ের এই সাফল্য তাদের আগামী দিনের পথচলায় নতুন প্রেরণা যোগাবে।