আব্দুল্লাহ আল তৌহিদ, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) প্রশাসন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়েজ আহমেদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের অনুমোদনের পর আজ(১১ই ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ ঘটিকার সময় ভিসি দপ্তরে চেক প্রদান করা হয়। ফয়েজের পক্ষে থেকে তার পিতা চেক গ্রহন করেন।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইসমাইল,প্রোভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.মো হানিফ মুরাদ, রেজিস্ট্রার তামজিদ হোসাইন চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জনাব এ.এফ.এম আরিফুর রহমান, ছাত্র পরামর্শক উপদেষ্টা নিজাম উদ্দিন,আইন বিভাগের প্রধান মোঃ জামশেদুল ইসলাম। এবং ফয়েজ আহমেদ এর পিতাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভুক্তভোগী ফয়েজ আহমেদ এর পিতা বলেন- আমার ছেলের উপর যে অন্যায় অত্যাচার করা হয়েছে আজকে তা কিছুটা লাঘব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ, দেরিতে হলেও আমরা মোটামুটি ন্যায়বিচার পেয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক বলেন- আমাদের পক্ষে ফয়েজের অতীতের সময় ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না।ভবিষ্যতে ফয়েজ আহমদের যেকোনো সমস্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাশে থাকার চেষ্টা করবে।এবং আগের প্রশাসনের এই রকম লজ্জাজনক কাজের জন্য আমরা ফয়েজের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন- ফয়েজের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা সমূহ হৃদয়বিদারক এবং অন্যায়।আমরা তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের নিয়ম অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করছি।যদিও ফয়েজের সাথে ঘটে যাওয়া সবকিছুর ক্ষতিপূরণ অপূরণীয়।
উল্লেখ্য এর আগে ফেসবুকে একটি কমেন্ট করায় নিয়মবহির্ভূত ভাবে বঙ্গবন্ধুকে অবমান ও শিবির সন্দেহের অভিযোগে ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ফয়েজ আহমেদ এর ছাত্রত্ব বাতিল করে আগের প্রশাসন।