‘ভুয়া’ বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে পেল ইউজিসি

মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি নামক একটি অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ

মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি নামক একটি অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। ওয়েবসাইটে (https://eaub.info/) দেয়া ভুয়া তথ্য বিশ্বাস করে কোন ধরনের প্রতারণার শিকার না হতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহবান জানিয়েছে ইউজিসি। 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পাবলিক রিলেশন্স ম্যানেজমেন্ট শাখার পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ শাখার দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা কর্তৃক ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে ইস্যুকৃত সনদের সঠিকতা যাচাইয়ের অনুরোধের প্রেক্ষিতে কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। সরকার অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পাওয়া না যাওয়ায় ওয়েবসাইটের (https://eaub.info/) মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান রাজধানীর ইস্ট মেরুল বাড্ডা হওয়ায় এর কার্যক্রম সরজমিনে পরিদর্শনের জন্য কমিশন দুই সদস্যের একটি পরিদর্শন টিম গঠন করে।’ 

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গত ২০ জানুয়ারি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে টিমের সদস্যরা ইউজিসি কর্তৃপক্ষের নিকট একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। রাজধানীর পূর্ব মেরুল বাড্ডায় ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটির কোন ক্যাম্পাসের অস্তিত্ব নেই ওয়েবসাইটে (https://eaub.info/) বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশ সরকার, ইউজিসি, ফার্মেসি কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত বলে উল্লেখ করেছে। বাস্তবে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানসমূহের কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম টাইপ করলে স্ক্রলবারে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর নামসহ লোগো প্রদর্শিত হয়। কিন্তু ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি নামেই পেইজটি ওপেন হয়। আরো আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, ইস্ট এশিয়ান ইউনিভার্সিটি-এর নামের ওপর ক্লিক করলে ইবাইস ইউনিভার্সিটি (https://ibais.ac/) নামের পেইজটি ওপেন হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে পরিদর্শন টিম তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, সনদ বাণিজ্যের জন্যই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অননুমোদিত এ প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পরিদর্শন টিম তাদের প্রতিবেদনে প্রতারণা বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (https://eaub.info/) ডোমাইনটি অতি দ্রুত বন্ধের বিষয়ে বিটিসিএল-এ পত্র প্রেরণের সুপারিশ করেছে।

এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে। 
Cookie Consent
We serve cookies on this site to optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.