![]() |
লেখা ও ছবি: ইশতিয়াক আহমেদ |
রায়হান ছিল এক দুর্দান্ত ছেলে। যেমন তার সাহস, তেমনই তার আত্মবিশ্বাস। মনে হতো, দুনিয়ার সবকিছুই তার হাতের মুঠোয়। কিন্তু সে তার মায়ের কথা খুব একটা শুনতে চায় না।মায়ের উপদেশগুলো তার কাছে বিরক্তিকর লাগত। মা চাইতেন রায়হান একটু দায়িত্বশীল হোক, কিন্তু রায়হান সেসব কথায় কান দিত না।
স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার আগের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে অনলাইনে গেম খেলতে ব্যস্ত রায়হান । মায়ের বারবার বলা সত্ত্বেও সে ঘুমোতে যায়নি সে। পরীক্ষার সকালে ঘুম ভেঙে দেখে সময় প্রায় শেষ। তাড়াহুড়ো করে পরীক্ষার হলে পৌঁছেও মন শান্ত করতে পারছিল না। ক্লান্তিতে আর ঝিমুনির কারণে কোনো উত্তরই মনে আসছিল না। রায়হান বুঝতে পারল, মায়ের কথা না শুনে সে ভুল করেছে। পরীক্ষা শেষে রায়হান মন খারাপ করে বাড়ি ফেরে। মা তাকে দেখেই সব বুঝতে পারেন। রায়হান চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। মা এগিয়ে এসে তার মাথায় হাত রাখেন।
"কী হয়েছে, পরীক্ষা কেমন হলো?" মা জানতে চাইলেন।
রায়হান মাথা নিচু করে বলল, "খুব খারাপ হয়েছে মা। আমি তোমার কথা শুনিনি, এটাই আমার ভুল।"
মা হেসে বললেন, "তোর নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই তুই সবচেয়ে বড় শিক্ষা পেয়েছিস। কিছু কথা না শুনলে জীবন থেকে শিখতে হয়। মনে রাখিস, সময়ের মূল্য দে, নয়তো সময়ই তোকে শিক্ষা দেবে।"
সেদিন রায়হান বুঝল, মায়ের উপদেশ আসলে শাসন নয়, বরং জীবনের সঠিক পথ দেখানোর জন্য সবচেয়ে বড় আলো।
গল্পের শিক্ষা:
আমরা প্রায়ই বড়দের উপদেশকে গুরুত্ব দিই না। কিন্তু পরে বুঝতে পারি, তাদের প্রতিটি কথা আমাদের ভালোর জন্যই বলা হয়।