নোয়াখালীতে শহীদ রিজভীর ছোট ভাইয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল


আব্দুর রহিম, নোয়াখালী
: ২৪ শে জুলাই বিপ্লবের অন্যতম শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর ছোট ভাই রিমনের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী ।

হামলার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ( ২৬ এপ্রিল) রাত ১০ :০০ সময় নোয়াখালী সুধারাম থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি সুধারাম থানা থেকে শুরু হয়ে সুপার মার্কেটের মোড়, টাউন হল মোড় প্রদক্ষিণ করে জেলা জামে মসজিদ মোড়ে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও নোয়াখালী জেলার আহ্বায়ক ছাত্রনেতা আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, "স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশ থেকে বিতাড়িত করেছিল ছাত্রসমাজ। তবে তার রেখে যাওয়া আওয়ামী লীগের দোসররা রয়ে গেছে দেশে , তারা এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে ।"

এ সময় তিনি আরও বলেন, "প্রশাসনের নীরবতার কারণেই দেশে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শহীদ রিজভীর ছোট ভাইয়ের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে হবে, না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।"

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের নোয়াখালী শহর সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি কাজী মাইনুদ্দীম তানভীর, গণ অধিকার পরিষদের প্রতিনিধি ওসমান গণি রুবেল সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা, তারা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি করেন এবং জুলাই আন্দোলনের ঘোষণাপত্র দূরত্ব সময়ের মধ্যে সাধারণ জনগণের সামনে প্রকাশ করতে বলেন তা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হয়েছে , যেখানে শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছে। সেই আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার প্রথম শহীদ ছিলেন রিজভী।

নবীনতর পূর্বতন