গাজা বিশ্ববিদ্যালয় এখন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল


গত ১৮ মাস ধরে ইসরাইলি বাহিনীর বোমা হামলায় ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি তাণ্ডব থেকে রক্ষা পায়নি গাজা শহরের গাজা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলোও। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল মিলনায়ত থেকে শুরু করে অনেক ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অনেক ভবনের দেয়ালে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলগুলোও বোমার আঘাতে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
 
যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত ১৮ মার্চ ইসরাইল গাজায় ফের হামলা শুরুর পর থেকে ক্যাম্পাসটি উত্তর গাজার শত শত পরিবারের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।

বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো লেকচার হল এবং শ্রেণীকক্ষে তাঁবু টাঙিয়ে থাকার ব্যবস্থা করেছে। জ্বালানি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে রান্নার কাজে ব্যবহার করছে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের তোরণের পাশে অস্থায়ী কয়েকটি দোকান বসেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়কে আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করলেও গাজার অন্য ফিলিস্তিনিদের মত এখানেও খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ এক মাসের বেশি সময় ধরে ইসরাইল গাজায় খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ এবং অন্যান্য সব পণ্যের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরাইলি হামলায় প্রায় ১৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৩ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছেন।
 
আর ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৫০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

Cookie Consent
We serve cookies on this site to optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.