শহিদদের রক্তের বদলা নিতে ‘অঙ্গীকার’ করলেন শিবির সভাপতি

ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘যারা নিজেদেরকে শহিদদের উত্তরসূরি মনে করে, তাদের কাছে নতুন করে ভয় শঙ্কার কোনো জায়গা নেই। আমি ওয়াদা করছি, শহিদদের রক্তের বদলা নেওয়ার জন্য, ঋণ পরিশোধের জন্য আমরা লক্ষ লক্ষ যুবক জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।’

গতকাল বুধবার রাতে লক্ষ্মীপুর শহর শিবির শাখার ব্যানারে আয়োজিত শহিদ পরিবেরের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের ঐতিহ্য কনভেনশন সেন্টারে এর আয়োজন করা হয়।

শিবির সভাপতি বলেন, ‘আপনাদের আকুতি-আবেগ আমরা কোনো কিছু দিয়ে পূরণ করতে পারব না। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপনাদের মনে ক্ষোভ রয়েছে।বাংলাদেশে শুধু আওয়ামী ফ্যাসিবাদ নয়, অদূর ভবিষ্যতে নতুন করে কোনো ফ্যাসিবাদ-জুলুমতন্ত্র আমরা কায়েম হতে দেব না।’ 

বিভিন্ন জায়গা থেকে আওয়ামী লীগকে আবার পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাসিবাদকে আবার রাজনীতি ও ক্ষমতায় আসার জন্য সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। যারা এ কথাগুলো বলে তারা নিজে শহিদদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করে, বেঈমানি করে।আন্দোলনে আমারও শহিদ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কোনোভাবে যদি শেখ হাসিনা টিকে থাকতো। আজকে এই শহিদ পরিবারের সঙ্গে বসার সুযোগ থাকতো না। এই পরিবারগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দিতো বাংলাদেশ থেকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন হাসপাতালে যখন আমাদের ভাইদেরকে চিকিৎসার জন্য পাঠাতাম তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। অনেক ভাইকে গুলি করেছে। একটি বিভীষিকাময় সময় আমরা পার করেছি। এখন নতুন করে আমাদের ভয় শঙ্কা, চাওয়া-পাওয়ার হিসেব নিকেশ নেই।’

শিবির সভাপতি বলেন, ‘জুলাই আগস্টের আন্দোলনের আগ পর্যন্ত ইসলামী ছাত্র শিবিরের ২৩৪ জন ভাই বিভিন্নভাবে শহিদ হয়েছে। এক হাজারেরও বেশি ভাইকে গুম করা হয়েছে। কাউকে ৩ দিন, কাউকে ৫ দিন, এক মাস ও বছরের পর বছর গুম করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন আয়নাঘরে। এর মধ্যে অনেক ভাইকে আমরা লাশ হিসেবে পেয়েছি।’

‘আবার অনেক ভাইকে আহত পঙ্গুত্ব অবস্থায় পেয়েছি। অনেক ভাইকে গুম করার পর তার খোঁজ আর পাওয়া যায়নি। এখনো পর্যন্ত জুলাই আগস্টের পর আমাদের ৭ জন ভাইকে পাচ্ছি না। পরিবারগুলোর কাছে আমরা কিভাবে জবাব দেব? আমাদের ভাইয়েরা কি জীবিত আছে? জুলাই আগস্টে ইসলামী ছাত্র শিবিরের অনেক ভাইকে হারিয়েছি’, বলেন জাহিদুল ইসলাম।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এআর হাফিজ উল্যাহ, শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুহতাসিম বিল্লাহ, মাদ্রাসা সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির, তথ্য সম্পাদক আবু সায়েদ সুমন, আইন সম্পাদক আরমান হোসেন পাটওয়ারী, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ডুয়েট সভাপতি ইব্রাহিম খলিল, লক্ষ্মীপুর শহর শাখার সভাপতি ফরিদ উদ্দিন ও সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল হামদু প্রমুখ।

Cookie Consent
We serve cookies on this site to optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.