সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: দীর্ঘ ১৩ বছরের প্রতীক্ষার পর অবশেষে স্থায়ী ঠিকানা পেল সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়। রাজধানীর খিলগাঁও থানার দাসেরকান্দি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ৩ মে, শনিবার। উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা ও স্থায়িত্বের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলো দেশের বেসরকারি এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
ড. মো: সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা জনাব আজিজুল বারী (শিপু), প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ একরামুল ইসলাম, প্রফেসর আল আমিন মোল্লা ডীন, ব্যবসায় অনুষদ, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় (এসইউ) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আকবর হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শামীম আরা হাসান।
ড. সুলতান মাহমুদ বলেন, “নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পরে হলেও বিশ্ববিদ্যালয়টি আজ নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু করলো, যা নিঃসন্দেহে শিক্ষার্থীদের জন্য এক গর্বের বিষয়। এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত—মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন ক্যাম্পাসে বর্তমানে চারটি বিভাগের ক্লাস শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে পর্যায়ক্রমে সকল বিভাগের কার্যক্রম এই ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হবে। রয়েছে আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগার, কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে জানান, অনেকদিন ধরে ভাড়া ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে গিয়ে নানা ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধনের মাধ্যমে সেই অনিশ্চয়তা ও অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। শিক্ষার্থী আয়েশা তাসনিম বলেন, “ভবিষ্যতে আমরা যেন এখান থেকেই ডিগ্রি শেষ করতে পারি, এই প্রত্যাশাই করছি।”
উল্লেখ্য, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে। ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন করা বাধ্যতামূলক হলেও নানা প্রশাসনিক ও নির্মাণগত জটিলতায় তা বাস্তবায়ন হয়নি। প্রথমে আফতাবনগরে ক্যাম্পাস নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তীতে সেটি পরিবর্তন করে খিলগাঁওয়ের দাসেরকান্দি এলাকায় কার্যক্রম শুরু করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শামীম আরা হাসান বলেন, “এই ক্যাম্পাস কেবল একটি স্থাপনা নয়, এটি আমাদের শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ও সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ—একটি গুণগতমানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার।”
এই উদ্বোধন শুধু একটি নতুন ভবনের নয়, বরং শিক্ষার্থীদের আত্মপরিচয় ও গর্বের একটি মাইলফলক।