মিরাজ হোসেন: ডিপ্লোমা পেশাজীবি ও ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ৭ দফা অযৌক্তিক দাবির প্রতিবাদে সারাদেশের মতো জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবিপ্রবি) বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগষ্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শতাধিক প্রকৌশল শিক্ষার্থী এ বিক্ষোভে অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা টেকনিশিয়ান হয়েও প্রকৌশলী উপাধি দাবি করছে, গেজেটেড অফিসার পদে কোটার মাধ্যমে প্রবেশ করতে চাইছে, সব সরকারি চাকরিতে কোটা চাইছে এবং ১০ম থেকে ৯ম গ্রেড পদে ৫০ শতাংশ কোটা দাবি করছে যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও পেশাগতভাবে অগ্রহণযোগ্য। প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রকৌশলী উপাধি অর্জন করতে হলে চার বছরের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করতে হয়। অথচ মাত্র চার বছরের ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে নিজেদের প্রকৌশলী দাবি করা আসল প্রকৌশলীদের মর্যাদা ও পেশাগত অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী মিনহাজ বলেন, “আমরা চার বছর কঠোর পরিশ্রম করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশলী ডিগ্রি অর্জন করি। সেখানে ডিপ্লোমা শেষ করা শিক্ষার্থীরা প্রকৌশলী দাবি করা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এটি প্রকৃত প্রকৌশলীদের প্রতি অপমান।”
এছাড়া ডিপ্লোমা নেতাদের একজন কর্তৃক বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের “কুলাঙ্গার” বলে অভিহিত করার তীব্র নিন্দা জানান বিক্ষোভকারীরা। তারা বলেন, এই ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য পেশাজীবীদের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে এবং ইঞ্জিনিয়ার সমাজকে হেয় করছে।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন। মিছিলে তারা “প্রকৌশলীদের মর্যাদা রক্ষা করো”, “ডিপ্লোমা দিয়ে প্রকৌশলী নয়”, “অযৌক্তিক কোটা প্রত্যাহার করো” ইত্যাদি স্লোগান দেন। প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, সরকার যেন দ্রুত এ বিষয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেয় এবং ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের প্রকৌশলী পদবি ব্যবহার বন্ধ করে। একই সঙ্গে সরকারি চাকরিতে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কোটা বরাদ্দ না দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
তারা আরও সতর্ক করে বলেন, পেশাগত মর্যাদা ও ন্যায্য অধিকার রক্ষার স্বার্থে এই কর্মসূচি শুধু জাবিপ্রবিতেই নয়, বরং সারাদেশেই অব্যাহত থাকবে।