জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাহসী ভূমিকা রাখায় নোবিপ্রবিসাসকে সম্মাননা প্রদান

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাহসী ভূমিকা রাখায় নোবিপ্রবিসাসকে সম্মাননা প্রদান

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাস জুড়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) সহ সারা নোয়াখালীতে সংঘটিত ছাত্র-আন্দোলনে তথ্য-সংগ্রহ, প্রতিবেদন প্রকাশ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিকে (নোবিপ্রবিসাস) বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে।

সোমবার (৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন মিলনায়তনে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস' উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ সাংবাদিক সমিতির প্রতিনিধিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “সাংবাদিক সমিতির সাহসিক প্রতিবেদন ও আপসহীন মনোভাব আন্দোলনের সময় সঠিক তথ্য তুলে ধরতে সাহায্য করেছে। তাদের অটল অবস্থান এবং সাংবাদিকতার নৈতিকতা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে।”

সম্মাননা পাওয়া বিষয়ে নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো.ইমাম হোসেন বলেন, “ ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন, যা পরে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই আন্দোলনে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জিং। এই সম্মাননা আমাদের জন্য একটি বড় অনুপ্রেরণা। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল—মানুষের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়া। এই সম্মাননা শুধু আমাদের নয়, বরং সেই সকল সাহসী সাংবাদিকদের প্রাপ্য, যারা সত্য প্রকাশে কোনোদিন পিছপা হননি।"

তিনি আরও বলেন, "সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। আমাদের দায়িত্ব শুধু সংবাদ পরিবেশন করা নয়, বরং সমাজের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরা এবং মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা। নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি আগামীতেও এই আদর্শ বজায় রেখে কাজ করে যাবে।"

এছাড়াও অনুষ্ঠানে  নোয়াখালী জেলার ২৩ জন শহিদ পরিবারের সদস্য এবং গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদেরকেও আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

নবীনতর পূর্বতন