চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) র্যাগিংয়ের অভিযোগে ১০ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় চুয়েট ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নোটিশ প্রদান করা হয়।
অভিযুক্ত ১০ শিক্ষার্থী হলেন- ২৩ ব্যাচের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের মো. রাফি আহম্মদ ভুঁইয়া, আব্দুল্লাহ আল নাছির, সাজ্জাদ হাসান, তানভীর খান, মনসুর আলম সিয়াম, এসকে ফাহিম আহমেদ, মো. আতিকুর রহমান ফাহিম, যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাখাওয়াত হোসেন সজীব, মেকাট্রনিক্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আহমেদ ইতিসার ও কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোনতাসিন হোসেন মাহি।
কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা হলের প্রভোস্ট কর্তৃক স্বাক্ষরিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়- গত ১৩ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা হলের প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টগণ আনুমানিক রাত ১টার দিকে হলের রুম পর্যবেক্ষণকালে মুক্তিযোদ্ধা হলের এন-৫১২ নম্বর রুমের ভিতর ২৩ ব্যাচের ১০ জন শিক্ষার্থী কর্তৃক ২৪ ব্যাচের ৯ জন শিক্ষার্থীকে হয়রানি করা অবস্থায় পাওয়া যায়। এতে উল্লেখিত শিক্ষার্থীদের সরাসরি সম্পৃক্ত থাকায় তাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, এমন আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এ মর্মে স্বহস্তে লিখিত জবাব আগামী ৩ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টার মধ্যে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালকের দপ্তরে সশরীরে হাজির হয়ে দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয় এবং ওই দিন বিকাল ৩টায় তাদের স্বপক্ষে ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য প্রদান করতে হবে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুবুল আলম জানান, ক্যাম্পাসে র্যাগিং ও মাদক নির্মূলে চুয়েট প্রশাসন বদ্ধপরিকর। এসব বিষয়ে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।