কারচুপি ও পক্ষপাতের অভিযোগে জাকসু নির্বাচন স্থগিতের দাবি জাবি অধ্যাপকের

কারচুপি ও পক্ষপাতের অভিযোগে জাকসু নির্বাচন স্থগিতের দাবি জাবি অধ্যাপকের

কারচুপি ও পক্ষপাতের অভিযোগে জাকসু নির্বাচন স্থগিতের দাবি জাবি অধ্যাপকের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও প্রশাসনের পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রদলসহ একাধিক প্যানেল ইতোমধ্যেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেছেন, ‘জাকসু নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। প্রচুর কারচুপির অভিযোগ উঠেছে প্রায় সব মহলেই। এ নির্বাচন স্থগিত করা উচিত।’

জাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায়। তবে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টা পেরিয়ে গেলেও ফলাফল ঘোষণা হয়নি। জানা গেছে, রাত ১০টার পর ফল প্রকাশ হতে পারে।

অধ্যাপক রায়হান রাইন আরও বলেন, “আমি সর্বোপরি হতাশ। প্রশাসন যত ধরনের অব্যবস্থাপনা করতে পারে, তা প্রায় সবই করেছে। তার ফলেই বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন একটি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।”

প্রশাসনের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে অধ্যাপক রাইন বলেন, “তাদের পক্ষপাত স্পষ্ট। সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের সহসভাপতি প্রার্থীর প্রার্থিতা অন্যায্যভাবে বাতিল করা হয়েছে। আদালত প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে বললেও প্রশাসন চেম্বার আদালতে ভুয়া অজুহাত দেখিয়ে তাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভোটের দিনে বহু প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট অনুপস্থিত ছিল। কারণ অনুমতি দেওয়া হয়েছিল আগের রাত ৩টায়। ফলে সকালে ভোট শুরু হলেও অনেক প্রার্থীর পক্ষে কেউ উপস্থিত থাকতে পারেননি। এ অবস্থায় স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব নয়।

অধ্যাপক রাইন জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগও গুরুতর। অনেকেই ভোট দিতে গিয়ে দেখেছেন তাদের ভোট অন্য কেউ দিয়ে দিয়েছে। আবার কোথাও কোথাও প্রার্থীর কাছে আগে থেকেই দাগানো ব্যালট পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় স্বচ্ছতার প্রশ্ন উঠেছে এবং সংশয়ের যৌক্তিকতা রয়েছে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ছাত্রদল, বামজোট, ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন সংগঠন এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তবে শেষ দিকে এসে বিভিন্ন অভিযোগে ছাত্রদল ও বামজোট নির্বাজন বয়কট করে। পাশাপাশি নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিন শিক্ষক। শুরু থেকেই নির্বাচনকে ঘিরে নানা অনিয়ম, কারচুপি ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ও ২২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তা সেই প্রশ্নকে আরও জোরালো করে তুলেছে।

নবীনতর পূর্বতন