পাবিপ্রবির গণরুমে কে উঠছে কে নামছে জানে না হল প্রশাসন

পাবিপ্রবির গণরুমে কে উঠছে কে নামছে জানে না হল প্রশাসন
পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) গণরুমে  কে উঠছে কে নামছে এ বিষয়ে কোন তথ্য নেই হল প্রশাসনের কাছে। ছাত্ররা তাদের ইচ্ছেমত গণরুমে উঠছে আবার গণরুম ছেড়ে চলে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় ছাত্ররা গণরুমে মানবেতর জীবনযাপন করছে, নেই পড়াশোনার পরিবেশ।

পাবিপ্রবির ছেলেদের একমাত্র হল  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল। ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পূর্বে গণরুমের নিয়ন্ত্রণ ছিল ছাত্রলীগের হাতে। আওয়ামী সরকারের পতনের পর হল প্রশাসন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হলে ছাত্রদের সিট বরাদ্দ দিলেও গণরুমের দিকে কোন দৃষ্টিপাত করেনি।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, হলের গণরুমে কে থাকছে না থাকছে এ বিষয়ে হল প্রশাসনের কোন তদারকি নেই। হলের গণরুমে হল প্রশাসনের তদারকি না থাকার ফলে যখন তখন যে কেউ গণরুমে উঠছে ফলে নতুনদের সাথে খাপ খাওয়াতে প্রায়ই ছাত্রদের বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন  হতে হচ্ছে। হলে নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। 

এছাড়াও হলের গণরুমে হল প্রশাসনের তদারকি না থাকায় ৩০ জন ছাত্র গণরুমে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরেজমিন দেখা যায়, গণরুমে ১৮টি বৈদ্যুতিক ফ্যান লাগানোর ব্যবস্থা থাকলেও মাত্র ৭ টি ফ্যান আছে যার সবকটিই নষ্ট। ১৫ টি বৈদ্যুতিক লাইট থাকলেও সচল আছে মাত্র ৪টি লাইট। অধিকাংশ বৈদ্যুতিক ছকেটই নষ্ট দেখা যায়, ফলে প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক সামগ্রী ব্যবহার করতে অসুবিধা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে  গণরুমে ছাত্ররা নানা সমস্য নিয়ে গরমের মধ্যে আলো-বাতাস বিহীন মানবেতর জীবন যাপন করছে।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের কাছে গণরুমের কোন তথ্য নেই। বর্তমানে গণরুম আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রাখছি। যখন আমরা গণরুমের ছাত্রদের সুবিধা (লাইট, ফ্যানের) দিতে পারব তখন ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমরা গণরুমের ছাত্রদের তথ্য সংগ্রহ করব। আমরা সিস্টেমেটিক পদ্ধতিতে যাচ্ছি।  আমরা অলরেডি কেনা-কাটার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ১ সপ্তাহের মধ্যে আমরা কাজ সম্পূর্ণ করতে পারব।'
নবীনতর পূর্বতন