ইসকন নিষিদ্ধ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি

ইসকন নিষিদ্ধ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি

ইসকন নিষিদ্ধ ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি

আলফাজ হোসেন আরবি, যবিপ্রবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা উগ্রবাদী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) কে নিষিদ্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বৈরাচারের চিহ্ন মুছে ফেলা, আওয়ামপন্থী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সহ চার দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান নেন। এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আইনজীবী আলিফ হত্যার প্রতিবাদ ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা 'স্বৈরাচারের সঙ্গী, ইসকন জঙ্গী' 'উগ্রবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না', 'এক দুই তিন চার, ইসকন তুই বাংলা ছাড়', 'ইসকনের বিরুদ্ধে, আগুন জালাও একসাথে', 'দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা', 'একশ্যান টু একশ্যান, ডাইরেক্ট একশ্যান', 'আবু সাইদ মুগ্ধ,শেষ হয়নি যুদ্ধ', 'আমার ভাই মরলো কেনো প্রশাসন জবাব চাই' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

বিক্ষোভে সমাবেশে শিক্ষার্থীদের পক্ষে চার দফা দাবি তুলেন গণিত বিভাগের সুমন আলী নামে এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, অবিলম্বে যবিপ্রবিতে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ক্যাম্পাস থেকে স্বৈরাচারের সকল চিহ্ন মুছে ফেলতে হবে, স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ডিপার্টমেন্ট থেকে স্বৈরাচারের ছবি সরিয়ে ফেলতে হবে।

আরেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান ইমরান বলেন, ইসকন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ থাকলেও বাংলাদেশে এটি কেন নিষিদ্ধ নয় এর জবাব উপদেষ্টাদের দিতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নারায়ে তাকবীর দিয়ে বিশ্বজিৎকে এবং বর্ডারে বাংলাদেশি দুজন হিন্দু শরণার্থী কিশোরকে যখন হত্যা করা হয় ইসকন তখন কোথাই ছিল? বাংলাদেশের সনাতন বিদ্যার্থী পরিষদ আরএসএস এর ছাত্র উইংদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের খুনি চবি সাংস্কৃতিক বিভাগের শিক্ষক ড. কুশল বরণ চক্রবর্তীকে অবিলম্বে আইনের আওতায় দ্রুত বিচার কার্যকর করতে হবে। যবিপ্রবিতে যারা ইসকনের সাথে যুক্ত, তাদেরকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চিহ্নিত করে বহিষ্কার করতে হবে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় চিন্ময় দাসকে। ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে গতকাল (মঙ্গলবার) চিন্ময় কৃষ্ণর জন্য জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ সময় হামলায় ওই আইনজীবী নিহত হন।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.