শাহারিয়া আহমেদ নয়ন,সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
৪ ডিসেম্বর (বুধবার) সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন। তাদের এই প্রতিবাদ ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার বিরুদ্ধে ছিল। ছাত্ররা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একযোগে স্লোগান দিতে থাকে, যা পুরো ক্যাম্পাসে প্রতিধ্বনিত হয়।
হামলার ঘটনার প্রতিবাদে, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ভারতের উপ হাইকমিশনে হামলাকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং সম্পর্কের প্রতি গুরুতর আক্রমণ হিসেবে দেখছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ছাত্র নেতা আহমেদ নয়ন বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে ভারতের সেভেন সিস্টারের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ভারত আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু, তাদের উচিত বন্ধুর মতো আচরণ করা। নতুন বাংলাদেশে, আমরা তাদের দাস হয়ে থাকবো না। আমরা সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব, এবং বাংলাদেশ ছাত্রসমাজ সব সময় এসব ষড়যন্ত্র রুখে দেবে।"
তিনি আরও বলেন, ফেসিবাত বাংলাদেশে যতবার অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে, তারা প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে। তাদের এই ব্যর্থতার পাল্লা ভারী হবে। ছাত্র সমাজকে বিচ্ছিন্ন করতে তারা কখনও সফল হবে না। বরং যতবার তারা বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করবে, ততবার আমরা আরও একত্রিত হব। দল-মত নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় বাংলাদেশ।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দেন, যার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য স্লোগান ছিল:"তুমি কে আমি কে? – বাংলাদেশ, বাংলাদেশ" "জেগেছে, জেগেছে – বাংলাদেশ জেগেছে","আপোষ না, সংগ্রাম – সংগ্রাম, সংগ্রাম", "গোলামি না, আজাদি – আজাদি, আজাদি" ,"দিল্লি না ঢাকা – ঢাকা, ঢাকা" ,"হাই কমিশনে হামলা কেন? – দিল্লি তুই জবাব দে" !
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, নতুন প্রজন্ম আর কোনো প্রকার আধিপত্যবাদী আচরণ মেনে নেবে না। তারা এক কণ্ঠে বলেছে, বন্ধুত্ব সমানে সমানে হতে হবে, আধিপত্য বিস্তার করে নয়। ভারতকে ভাবতে হবে, তারা কী চায়?
এদিনের প্রতিবাদ মিছিলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের অটুট দৃঢ়সংকল্পের প্রতীক হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করেছে, যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানাবে এবং তাদের অধিকার রক্ষা করবে। বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ কখনোই তাদের দেশ এবং জাতির সার্বভৌমত্বের প্রতি কোনো আক্রমণ মেনে নেবে না।