বাথরুমে বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজীর (৫৯) শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার চিকিৎসায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালককে প্রধান করে ১৬ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১৭ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর বনানীর বাসায় বাথরুমে গ্যাস লাইটার দিয়ে সিগারেট ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন তিনি। দগ্ধ অবস্থায় ভোরেই স্বজনরা তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।
বাবুল কাজী একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। তার বাসা বনানীর ২৩ নম্বর রোডে। সেখানে স্ত্রী নাদিরা ফারজানা রুনা ও তাদের দুই ছেলে-এক মেয়ে থাকেন।
বাবুল কাজীর বড় বোন খিলখিল কাজী বলেন, তার ভাইয়ের ধূমপানের অভ্যাস আছে। ভোরে বাথরুমে গ্যাস লাইটার দিয়ে সিগারেট ধরাতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়। তখন তিনি নিজেই বাথরুমের দরজা খুলে বাইরে বের হন। স্ত্রী-সন্তানরা মিলে তাকে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বাথরুমে মিথেন গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. মারুফুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, সকালে তাকে দগ্ধ অবস্থায় স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার শরীরের ৭৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ডা. মো. মারুফুল ইসলাম আরও বলেন, ইতোপূর্বে বাবুল কাজীর লিভার ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে। তার সার্বিক চিকিৎসার জন্য ১৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।