ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি ) ক্যাম্পাস জ্ঞান-দক্ষতার প্রতিবিম্ব ও প্রতিযোগিতার মিছিলে হারিয়ে যায় সবুজের সমারোহ। কত হাজার প্রতিকুলতা আর থ্রেটের কোলাহল নির্জনে নিক্ষেপ করে বহুবার!
তবে আছে শান্তি, আছে অশান্তি।
ল্যাব, লাইব্রেরী, সেমিনার কক্ষে নিজেকে প্রস্ফুটিত করার যেমন সুযোগ একইভাবে প্রতিযোগিতার দারুন সব গিফটের মেলা, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি, তুমি, সে, পেতে পারি সাদরে। তবে ভেবেছো কি কখনো এই প্রতিযোগিতায় আমরা কতখানি নিজেকে বিলিয়ে দেয়, মানুষিক দুশ্চিন্তার সংঘর্ষে নিহত হই?
অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা আমাদের একটা আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যতের কান্ডারি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। নতুন বন্ধুত্বের স্বাদে গন্ধে ভরপুর থাকে আমাদের ক্যাম্পাস।
কিন্তু সবকিছুর অন্তরে যে একটা কাঁটা বিঁধে থাকে সেটা আমরা সবাই জানি যেমন:- আমার ক্যাম্পাস আড্ডায় মাতোয়ারা ঠিক সময়ে মগজের কোষ গুলো বলে উঠে সেমিস্টার ফি, স্টাডি ট্যুরের মোটা অংকের ভার, মিডের চিন্তা, ইত্যাদি কেমন যেন একটা অসুস্থতার খবর। কিন্তু যখন আমি প্রকৃতিতে হারিয়ে যেতে চাই আমার ভাবনা গুলোকে এড়িয়ে যেতে তখনি দেখি কই আগের সেই কাশফুলের কোমল শুভ্রতায় হাসছে না, কৃষ্ণচূড়া, বকুল, হাসনাহেনা কেউই উপস্থিত নেই যে আমাকে, তোমাকে, তাকে, এক মুহুর্তের জন্য তাদের রাজ্যে নিয়ে যাবে! রাজ্যেই তো নেই বিলীন হয়েছে আস্তে আস্তে। কেন? আবার কি তাদের সতেজতায় বদলানো যায় না ক্যাম্পাস? যায়না কি সুযোগ সুবিধা হাতের মুঠোয় আনতে? পাবনা কেন নিয়মানুবর্তিতার ছোঁয়া?
রাজনীতি অনেক সময় পরিবেশটা এতটাই দূষিত করে যে বড্ড বেশি নোংরা লাগে।
ক্যাম্পাস তোমার, আমার, সবার সে দৃষ্টিকোণ থেকেই পরিবেশ হোক সুন্দর সুশীল ভালো খারাপ মিশ্রণ কে শক্তিশালী করে এগিয়ে যাক স্বপ্নের স্রোতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।
পরিবর্তনের পথিক - বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়!
হালিমা খাতুন কেয়া,
ইংরেজি বিভাগ, ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী,
২০২৩-২৪ সেশন