সংগীত কুমার, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থিয়েটারের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুন্নাহার লাকী ও সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল ফারাবী।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. সাইফুজ জামান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহির আল মুজাহিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির অন্যান্য পদে রয়েছেন— সহ-সভাপতি শাহরিয়ার প্রিন্স, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসেম আহমেদ ও মোবারক হোসেন আশিক, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিংথুই মারমা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আর্য পাল, অর্থ সম্পাদক নুসরাত ঐশী, সহ-অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া বন্যা, দপ্তর সম্পাদক সোহরাব হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক মিথিলা ফারজানা, প্রচার সম্পাদক মনিরুল মান্নান আশেক, উপ-প্রচার সম্পাদক রুম্মান, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সুলতানা আক্তার মীম, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রণয় প্রান্ত। কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন শিমলা মণ্ডল, সজল রায়, সংগীত কুমার, মো. নুরশেদ ও তানজীম তানহিয়াত শৈলী।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল ফারাবী বলেন, “থিয়েটার আমার কাছে শুধু একটি শিল্পমাধ্যম নয়— এটি আত্মার প্রকাশ, সমাজের গল্প বলা, সংস্কৃতির নিঃশব্দ বিপ্লব। এই সংগঠনের সঙ্গে আমার পথচলা শুধুই ব্যক্তিগত ভালোবাসার কারণে নয়— এটি একটি দায়িত্ব, একটি অঙ্গীকার। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এই দায়িত্ব পাওয়া যেমন আনন্দের, তেমনি এক বিরাট চ্যালেঞ্জও। আমি বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার শুধু নাট্যচর্চার জায়গা নয় বরং এটি হবে নতুন ভাবনার জন্মস্থান, সৃজনশীলতার প্ল্যাটফর্ম। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা থিয়েটারের ঐতিহ্য ধরে রাখবো, নতুন প্রতিভাদের এগিয়ে আসার সুযোগ করে দেবো এবং মঞ্চের আলোয় ফুটিয়ে তুলবো সমাজের কথাগুলো— এটাই প্রত্যাশা।”
সংগঠনটির নবনির্বাচিত সভাপতি সাইফুন্নাহার লাকী বলেন, “শব্দের বীজ বুনে জন্ম নেওয়া সংলাপ ভীষণ তীক্ষ্ণ হয়। একদিন থিয়েটারকে বন্ধু ভেবে বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। থিয়েটারের সিনিয়রদের সবসময় পাশে পেয়েছি, দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি, তার জন্য আমি বরাবরই কৃতজ্ঞ। কিন্তু কখনোই নিজেকে এত বড় জায়গায় দেখার সাহস করিনি। থিয়েটার প্রতিনিয়ত আমাকে বাস্তবতা শেখায় এবং আমি শিখে চলেছি নিরন্তর।”
তিনি আরও বলেন, “সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া নিঃসন্দেহে এক গর্বের মুহূর্ত। সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে যারা আমাকে ভরসা করে এই দায়িত্ব দিয়েছে, তাদের সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখার। আমি কখনোই ব্যক্তিসাফল্যে বিশ্বাস করি না, থিয়েটার মানে আমরা সবাই। আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসে থিয়েটারের আগামীতে কিছু উজ্জ্বল দিনের সাক্ষী হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে দায়িত্ব বহুগুণে বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সমৃদ্ধি ও উত্তরোত্তর বিকাশে আমাদের প্রতিশ্রুতি।”