আব্দুর রহিম, নোসক প্রতিনিধি: গতকাল রাতে নোয়াখালী সরকারি কলেজ সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন কমিটি প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারন সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষিত নোয়াখালী সরকারি কলেজে ছাত্রদলের ৫৮ সদস্য বিশিষ্ট নবাগত কমিটির সভাপতি করা হয় রাশেদুল ইসলাম সোহাগ কে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় সাফরাতুল ইসলাম নাবিল কে। কমিটি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। নোসক ছাত্রদলের নবাগ এই কমিটিকে অবৈধ ও পকেট কমিটি আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীরা।
আজ সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরের কলেজ ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ করেন ছাত্রদলের পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এসময় তারা বিক্ষোভ মিছিল থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয় এবং তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ❝নাছিরের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, নাছিরের চামড়া তুলে নেবো আমরা, অবৈধ কমিটি মানিনা মানবো না❞ এরকম আরো নানা শ্লোগান দেন। এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রদল নেতা–কর্মীরা বলেন, ঘোষিত ছাত্রদলের কমিটিতে মূল্যায়ন পায়নি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ত্যাগীরা। বরং কমিটিতে স্থান পেয়েছেন হেলমেট বাহিনীর সদস্য ছাত্রলীগ নেতা, কিশোর গ্যাং, বিবাহিত, অছাত্র ও ব্যবসায়ীরা। অতি দ্রুত কমিটি বাতিল করে ত্যাগী নেতাদের দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা। ছাত্রলীগ নেতা, বিবাহিত, অছাত্রদের দিয়ে কমিটি দেওয়ায় নোয়াখালীর সুবর্ণচরের সন্তান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন তাঁরা।
নোসক ছাত্রদলের পুর্বের কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিপন বলেন, আপনারা জানেন ইতিমধ্যে আমাদের নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটি দেয়া হয়েছে। যাদেরকে দিয়ে কমিটি দেয়া হয়েছে তারা অছাত্র এবং অযোগ্য। বিগত দিনে কলেজ ক্যাম্পাসের রাজনীতিতে তাদের বেশিরভাগই সম্পৃক্ততা ছিল না এবং আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিং করা কর্মীও আছে এই কমিটিতে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল টাকা খেয়ে পকেট কমিটি অনুমোদন দেয়। ২৮ শে অক্টোবর থেকে পাঁচ এ আগস্ট পর্যন্ত দলীয় সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি সকল কিছু সাক্ষী আমার জেলার নেতৃবৃন্দরা। আমরা এই পকেট কমিটি মানি না মানবো না।
নোয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান বলেন, জুলাই বিপ্লবের পরে আমরা একটি সুন্দর ক্যাম্পাস চেয়েছি। কিন্তু রাজনৈতিক হানাহানির কারণে আবারো ক্যাম্পাসের শান্তি ও সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। আমরা চাই সকল ধরনের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হোক। ছাত্ররাজনীতি থাকলে সেটা শিক্ষার্থীদের কল্যানে কাজ করা উচিত। শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন রাজনীতি আমাদের প্রয়োজন নাই।