ইবি প্রতিনিধিঃ পবিত্র মাহে রমজানের ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গণহত্যা দিবস-২০২৫ এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
২৫ মার্চ (মঙ্গলবার) রাতে গণহত্যায় নিহত ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কেন্দ্রীয় মসজিদে কুরআনখানি অনুষ্ঠিত হবে। একই রাতে ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত প্রতীকী ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করা হবে।
২৬ মার্চ (বুধবার) সকাল ১১টায় প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করবেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী। এ সময় ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল হক উপস্থিত থাকবেন। একই সময়ে হলসমূহের প্রভোস্টগণ নিজ নিজ হলে জাতীয় ও হল পতাকা উত্তোলন করবেন।
পতাকা উত্তোলনের পর আনন্দের প্রতীক হিসেবে বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন ভাইস চ্যান্সেলর। এরপর প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে এক শোভাযাত্রা বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ স্মৃতিসৌধে পৌঁছাবে। সেখানে ভাইস চ্যান্সেলরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর ১ মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার।
২৬ মার্চ জোহরের নামাজের পর কেন্দ্রীয় মসজিদ, আবাসিক এলাকার মসজিদ ও হলসমূহের মসজিদে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ২৬ মার্চ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও শৈলকুপা থেকে নির্ধারিত রুটে পর্যাপ্ত বাস ক্যাম্পাসে আসবে এবং অনুষ্ঠান শেষে ফিরে যাবে।