চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ৭ নেতাকে একাডেমিক ও ১২ নেতাকে হল থেকে বহিষ্কার


জুলাই আন্দোলনে জনস্বার্থবিরোধী অবস্থান ও ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

তাদের মধ্যে ১২ জনকে আবাসিক হল থেকে, ৪ জনকে দুই বছরের জন্য এবং ৩ জনকে এক বছরের জন্য সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ২ জনকে সতর্ক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা কমিটির ২৮৬তম সভার (জরুরি) সিদ্ধান্তক্রমে সোমবার শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ২১টি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, মো. সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আবদুল্লাহ, মো. তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ ও শাকিল ফরাজী; সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান, মো. রিফাত হোসাইন, মইনুল হক এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল করিম ও আবদুর রহমান জিহাদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে ২ বছরের জন্য এবং আবাসিক হল থেকে চিরতরে বহিষ্কৃতরা হলেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সহসভাপতি মো. ইমাম হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান।

এছাড়াও ৩ শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য সব একাডেমিক কার্যক্রম এবং চিরতরে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারা হলেন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌমিক জয়, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম ও তাহসিন ইশতিয়াক। 

এসব শিক্ষার্থীর বাইরে আরও ২ জনকে কেবল সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা হলেন, চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি চিন্ময় কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব উদ্দিন চৌধুরী।

নবীনতর পূর্বতন