ইবি প্রতিনিধি: ‘বৈশাখে বর্ণে, সুরে, স্বাদে— উৎসব হোক হৃদয়জুড়ে!’ স্লোগানকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বপ্নবিতান– ইবি পরিসরের উদ্যোগে 'বৈশাখীয়ানা উৎসব— ১৪৩২’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২০ এপ্রিল) ও সোমবার (২১ এপ্রিল) দুইদিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে ২দিন ব্যাপি এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আয়োজনে বাঙালি গ্রামীণ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যেখানে ছিল নাগরদোলা, বাহারি রঙের খাবার, রম্য বিতর্ক, হালখাতা, শিল্পকর্ম ইত্যাদি। এছাড়াও ছিল ঐতিহ্যবাহী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জানা যায়, অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় উদ্যোক্তাদের নিজস্ব পণ্য উপস্থাপন ও বিক্রয়ের সুযোগের জন্য মোট ২১টি স্টল ছিল। যেখানে বিভিন্ন হস্তশিল্প, ময়রাদের গরম গরম মিষ্টান্নসহ চমৎকার সব আয়োজন করা হয়।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে আয়োজনে বক্তব্য দেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ প্রমুখ।
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী গিয়াসউদ্দিন শোভন বলেন, “বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে যে আয়োজন করা হয়েছে, তাতে এসে আমি খুবই মুগ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন চলতে থাকুক। এই প্রত্যাশাই করি।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “সংস্কৃতি হলো শিক্ষিত মানুষের ভাষা। কারণ, শিক্ষিত মানুষ তার সংস্কৃতিকে ধারণ করে। আমরা জানি লোকজ সমাজে যারা বসবাস করে, তারা তাঁদের সংস্কৃতিকে ধারণ করে। আমরা কোনো কেন্দ্রীয় বৈশাখী মেলার আয়োজন করিনি; কিন্তু তোমরা যে আয়োজন করেছো এটি একটি প্রাণের মেলা।”
তিনি আরো বলেন, “আমি চাই, এই আনন্দঘন পরিবেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতে থাকুক। যেভাবে বিশ্ব এগিয়ে চলেছে এর সাথে তোমরা সাড়া দিয়ে আগামী দিনে তোমরাও এগিয়ে যাবে। তোমাদের জীবন হোক আনন্দময়, পূরণ হোক স্বপ্ন ও প্রত্যাশা আগামী দিনের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়।”