‘আমরা রাস্তা,ট্রেন অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করিনি বলেই কি আমাদের একটা যৌক্তিক দাবির দিকে দৃষ্টিপাত করছে না অন্তর্বর্তী সরকার?’ এমন প্রশ্ন রেখেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীর।
কুয়েটের উপাচার্য (ভিসি) ড. মুহাম্মাদ মাছুদকে অপসারণের এক দফা দাবিতে ২০ ঘণ্টা ধরে অনশনে আছেন কুয়েটের ৩২ শিক্ষার্থী। এ সময় তারা উপরিউক্ত মন্তব্য করেন।
ভিসি অপসারণের জন্য সরকারকে দেওয়া ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা (আল্টিমেটাম) শেষ হলে গতকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে এক দফার অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের একজন তৌফিক এলই-১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের অনশনের ২০ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। অনেকের ডিহাইড্রেশন শুরু হয়ে গেছে। অতিরিক্ত গরমে সবাই অসুস্থ হওয়ার পথে।
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না, প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শিক্ষকরা কয়েকবার এসেছেন। তারা আমাদের অনশন ভাঙতে বলেছেন এবং অনশন ভাঙার পর আলোচনা করতে বলছেন। অথচ স্যাররা আমাদের একবারের জন্যও বলতে পারছেন না যে ‘তোমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। তোমরা অনশন থেকে সরে আসো।’
এই অনশন কতক্ষণ পর্যন্ত চলবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানের সবাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের দাবিতে অনড় থাকব।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে একটা যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে, জুলুম করা হয়েছে। অথচ সরকার থেকে আমাদের ওপর কোনো দৃষ্টিপাত করা হয়নি। এই শিক্ষার্থীরা এখন জীবনবাজি রেখেছেন। জুলাইয়ে যে ছাত্ররা রক্ত দিয়ে এই সরকারকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, সরকার কি চায় সেই ছাত্রদের কয়েকটা লাশ এখান থেকে বের হোক?
এদিকে ভিসিকে অপসারণের ব্যাপারে ছাত্রকল্যাণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহ মুহাম্মাদ আজমাতউল্লাহ বলেন, আমাদের ছাত্ররা না খেয়ে আছে। এটা দেখে আমাদের কষ্ট লাগছে। তাই আমরা তাদের অনশন ভাঙাতে এসেছি।
ছাত্রদের দাবির ব্যাপারে তিনি বলেন, ছাত্রদের দাবি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। সরকারই এই ব্যাপারে ভালো জানবে।