জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ইসলামি বই মেলা শুরু


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামি পাঠাগার (জাবিইপা) এর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বারের মতো পাঁচ দিনব্যাপী ইসলামি বইমেলা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বই মেলার উদ্বোধন করেন।

‘জাবিইপা বইমেলা ২০২৫’ শিরোনামে আয়োজিত এ মেলা চলবে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে বইমেলা। বইমেলায় কুরআন, হাদিস, সিরাত, ইসলামি সাহিত্য, ইতিহাস, গবেষণা, আত্মউন্নয়ন, শিশুসাহিত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমৃদ্ধ শতাধিক বিষয়ের বই প্রদর্শন ও বিক্রির জন্য রাখা হবে। এবারে বই মেলায় মোট ১৯ টি পাবলিকেশনের স্টল বসেছে। এছাড়াও থাকবে লেখক—পাঠক আড্ডা, কুইজ প্রতিযোগিতা, বই প

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দেশ যে বড় পরিবর্তন এসেছে তার ছোঁয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে লেগেছে তার প্রমাণ এই ইসলামি বই মেলা। আমি ১৯৯২ সালে বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্র হিসাবে ভর্তি হই তারপর থেকে এধরনের আয়োজন কখনো দেখেনি। বিগত সময়ে কাজ করতে গেলে তাদের বিভিন্ন ধরনের ট্যাগ লাগানো হতো। ইসলামি মেলার আয়োকজকদের ধন্যবাদ।”

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, "আমরা আমাদের মানবিক গুণাবলি গুলো কে যদি অবলম্বন করি তাহলে আমরা আমাদের নৈতিক চরিত্র কে আরো বেশি ইসলামিক মতাদর্শ অনুযায়ী গড়ে তুলতে পারব।আজকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামি পাঠাগার থেকে যে বইমেলা টি আয়োজন করা হয়েছে।আমি মনে করি আমরা যদি আমাদের এই মুল্যবোধ টিকে আমাদের ব্যক্তিগতত,পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে লালন করতে পারি তাহলে আমাদের আজকের এই ইসলামিক আয়োজন সার্থক হবে বলে আমি মনে করি।"

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, এই পথ দিয়ে হেঁটে গেলে হয়ত কারো চোখে একটি বই পড়ে যেতে পারে, আর সেই বই—ই তার জীবন বদলে দিতে পারে। শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত নয়। জ্ঞানের জগৎ অনেক বিস্তৃত, আর সেই জগতে প্রবেশের সবচেয়ে সহজ পথ হচ্ছে বই। এই ধরনের আয়োজন ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানচর্চার প্রতি আগ্রহী করে তোলে। আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী পাঠ্যসূচির বাইরের বইও পড়ুক, যাতে তারা চিন্তাশীল, মানবিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে সমৃদ্ধ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।”

জাবি ইসলামি পাঠাগারের পরিচালক ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নানা মত ও সংস্কৃতির চর্চা থাকলেও ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির সুযোগ খুবই সীমিত। জাবিইপা সেই শূন্যতা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। এবারের বইমেলা সে প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে আমরা মনে করি।”

নবীনতর পূর্বতন