দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষার পর অবশেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়।
২১ নং (ছাত্র) হল
ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন ইবনে শিহাব। জিএস হয়েছেন ওলিউল্লাহ মাহাদী। এজিএস হয়েছেন তুষার আহমেদ।
শহীদ রফিক-জব্বার হল
ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদি হাসান। জিএস হয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন আরিফুল ইসলাম।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল
ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন রাকিবুল ইসলাম। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন আলী আহমেদ। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন সামিন ইয়াসির।
ফজিলতুন্নেসা হল
ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন ঐশী সরকার (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন ফারজানা তাবাসসুম। এজিএস প্রমা রাহা।
মীর মশাররফ হোসেন হল
ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন খালেদ জুবায়ের। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন শাহরিয়ার নাজিম। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন আরাফাত হোসেন।
আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল
ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন জিএমএম রায়হান কবীর। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন আবরার শাহরিয়ার। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন রিপন মন্ডল (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)।
মওলানা ভাসানী হল
ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল হাই স্বপন। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন হৃদয় পোদ্দার। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন রাকিব হাসান।
শহীদ সালাম–বরকত হল
ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন মারুফ হোসেন। জিএস হয়েছেন মাসুদ রানা, এজিএস আবরার আজিম ভুঁইয়া।
আলবেরুনী হল
ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন রিফাত আহমেদ শাকিল। জিএস হয়েছেন মুনতাসির বিল্লাহ খান। এজিএস সাদমান হাসান খান।
ফজিলতুন্নেসা হল
ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন ঐশী সরকার (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন ফারজানা তাবাসসুম। এজিএস প্রমা রাহা।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল
ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন বুবলী আহমেদ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)। জিএস হয়েছে সুমাইয়া খানম (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা), এজিএস প্রার্থী নেই।
১০ নং (ছাত্র) হল
ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন আসিফ মিয়া। জিএস নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদী হাসান। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন নাদিম মাহমুদ।
১৫ নং (ছাত্রী) হল
ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন শারমীন খাতুন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)। জিএস মেহনাজ মোহনা। এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন শাহানা আক্তার।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাত সোয়া ১০টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা, যা শনিবার পর্যন্ত চলমান ছিল। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার অংশগ্রহণের হার প্রায় ৬৭ থেকে ৬৮ শতাংশ।
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।
ছাত্রীদের হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।
এবার প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে ৮ জন প্রার্থী ছিলেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। একজন করে প্রার্থী ছিলেন ৬৭টি পদে। সে হিসাবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের মধ্য ২টি হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে বাম, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে সর্বমোট আটটি প্যানেল অংশ নেয়। তবে ছাত্রদলসহ ৫টি প্যানেল নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছে।
