![]() |
সয়েল আর্কাইভে বিভিন্ন স্থানের মাটির নমুনা সারিসারি রাখা রয়েছে ছবি : মাহিন |
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের ভূগর্ভস্থ দুই তলায় দেশের প্রথম সয়েল আর্কাইভ স্থাপন করা হয়েছে, যা অক্টোবর ২০২৪ থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে। এই আর্কাইভে এখন পর্যন্ত ১,৭৫৫টি ভিন্ন অঞ্চলের ৬,৫০০টি মাটির নমুনা সংরক্ষিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাহাড়ি অঞ্চল, উপকূলীয় এলাকা, সুন্দরবন এবং সমতল গ্রামাঞ্চল।এই আর্কাইভ থেকে মাটির উর্বরতা, পুষ্টি উপাদান এবং নির্দিষ্ট ফসলের জন্য উপযোগিতা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। কৃষক, কৃষিবিদ, বন কর্মকর্তা, গবেষকসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা একক প্ল্যাটফর্ম থেকে মাটির গুণগত মান ও উৎপাদন উপযোগী জমির তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া, কোন জমি কোন ফসল বা বনায়নের জন্য উপযুক্ত তা নির্ধারণে সহায়তা করবে এই আর্কাইভ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “এই আর্কাইভ দেশের কৃষি ও বন ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। আমরা গবেষণা ও শিক্ষার জন্য এর কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি” ।
মাটি বিশ্লেষণের জন্য চট্টগ্রাম হিল ট্র্যাক্টের নমুনা সংগ্রহের জন্য এখন আর চট্টগ্রাম যেতে হবে না, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আর্কাইভ থেকেই তা পাওয়া যাবে, জানিয়েছেন মাটি, পানি ও পরিবেশ ডিসিপ্লিনের প্রধান মো. সানাউল ইসলাম ।
মাটির নমুনা দুই স্তর থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে উপরের ১৫ সেন্টিমিটার এবং ১৬ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার গভীরতা থেকে। নমুনার পাশাপাশি জমির অন্যান্য তথ্যও সংরক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে টেকসই ব্যবহারের জন্য তথ্য সুরক্ষিত থাকে।
মাটি, পানি ও পরিবেশ ডিসিপ্লিনের ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, “আর্কাইভ থেকে সরাসরি তথ্য পাওয়া আমাদের গবেষণাকে অনেক সহজ ও কার্যকর করেছে”।
এই আর্কাইভ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) এর প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং USAID এর অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটির এই আর্কাইভ দেশের কৃষি ও বন ব্যবস্থাপনায় তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও গবেষণার জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।