বেরোবি সংবাদদাতা: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুরের ছাত্র জনতার সাথে আলোচনা করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কেরা।
শনিবার বিকেল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারকে অনুষ্ঠিত হয় এ আয়োজন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৬ই জুলাই আবু সাঈদের সাহসিকতার কথা স্মরণ করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী সাধারণ আন্দোলনের সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, সারজিস আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডঃ শওকত আলী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। আমরা যে গণঅভ্যুত্থান করেছি এর মাধ্যমে আংশিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। আমরা এমন এক রাষ্ট্র গঠন করব শেখ হাসিনার মত ফেঁচিশ থাকবে না। ছাত্র জনতার যে শক্তি শেখ হাসিনাকে পতন ঘটিয়েছে। ছাত্র জনতা ঐক্য থেকে এ ফ্যাসিবাদের লড়াইকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। সাধছে মাথা বের করে আছে তা কেটে ফেলার জন্য আমরা এখন পর্যন্ত রাজপথে আছি। রংপুর বিপ্লবীদের রংপুর। কোন ফেসি শক্তি উপরে আতঙ্কগ্রস্ত করতে পারবে না। সময় থাকতে ভালো হয়ে যান তাদের পরিস্থিতি শেখ হাসিনার মত হবে। বিপ্লবী তারুণ্য জাপার মত কোন রাজনৈতিক দলকে ভয় পায় না।"
বৈষ্ণব বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয় সারজিস আলম বলেন,
"ফ্যাসিস্টরা যখন দেশ থেকে পালিয়ে যায় তার ডালপালা গুলো লাফায়। রংপুর ছাত্র জনতা এদেরকে ভয় পায় না। ২০১৪,২০১৮,২০২৪ যখন বিএনপি-জামাআতের উপর হামলা করা হয় তখন এ দোসররা কোথায় ছিলো।ছাত্র জনতা কে যখন জামাত-শিবির বলা হত তখনই দোসরা কোথায় ছিল। যারা শেখ হাসিনাকে বৈধতা দিয়েছিল তারা একেকটা দোসর। এরা সুবিধাবাদ একটা গাড়ি,বাড়ি পাওয়ার জন্য সে ভন্ডরা এখন ভাল সাজতেছে। আমাদের ভাই বোনকে যারা অন্যায় ভাবে হত্যা করেছে তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যে অন্যায় করেছে আমাদের মানুষের সাথে প্রত্যেকটার বিচার এ বাংলার মাটিতে হবে। আমরা সামনে রংপুর জনতার মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছি ।যে সমাবেশে থাকবেন ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ ও নাহিদ ইসলাম। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমরা জীবন দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা জন্য রক্ষা ও প্রতিষ্ঠা করতে আমরা আবার প্রস্তুত থাকবো জীবন দেয়ার জন্য। যেকোনো সময়ে ছাত্র আন্দোলন কে আপনাদের সাথে কাদ মিলাদে সাথে পাবেন। দালালেরা দশেরা চক্রান্ত হাঁটছে কিন্তু সে চক্রান্তকুন্ঠিত করার বিচক্ষণতা সাহসিকতা এ তরুন প্রজন্মের মাঝে আছে। "
আলোচনা শেষে সার্ভিস আলম ছাত্রদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে লালবাগ রোডে শোডাউন করেন।