ইবির জিয়া হলের জরাজীর্ণ পাইপলাইন, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা


সংগীত কুমার, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের শৌচাগারের জরাজীর্ণ পাইপলাইন শিক্ষার্থীদের জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হলের পাইপলাইন দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় শৌচাগারগুলো প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।  

বুধবার (১২ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হলের বেশিরভাগ শৌচাগারে পাইপ লিকেজের কারণে উপরতলার নোংরা পানি নিচে পড়ছে, যা মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর ও অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করেছে। এছাড়া, বেসিনের পানি ঠিকমতো নিষ্কাশন না হয়ে ফ্লোরে জমে থাকছে, যার ওপর দিয়েই শিক্ষার্থীদের চলাফেরা করতে হচ্ছে।  

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পাইপের ছিদ্র দিয়ে নোংরা পানি পড়ায় শৌচাগার ব্যবহারের সময় হঠাৎ-ই নোংরা পানি তাদের গায়ে এসে পড়ে। এছাড়া, অনেক সময় শৌচাগারের পাইপ বন্ধ হয়ে মলমূত্র উপচে পড়ে, যা পরিবেশকে আরও দূষিত করছে। একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।  

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, "প্রতিদিন এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। করিডোর দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ ওপর থেকে নোংরা পানি পড়ে, যা আমাদের জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

আরেক শিক্ষার্থী আহমাদ মাহফুজ বলেন, "উত্তর ব্লকের ওয়াশরুমগুলো ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে। টাইলস নেই, দরজা ভাঙা, আর পাইপ লিকেজের কারণে নোংরা পানি বেসিনে জমছে। সেই পানিতেই হাত-মুখ ধুতে হয়, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর।"

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের প্রধান ও উপ-রেজিস্ট্রার আলাউদ্দিন বলেন, "সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আমরা প্রস্তুত। লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" 

তবে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ এ.বি.এম. জাকির হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Cookie Consent
We serve cookies on this site to optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.