নতুন কিছু প্রবর্তনের কোনো সীমানা নেই: নোবিপ্রবি উপাচার্য

নতুন কিছু প্রবর্তনের কোনো সীমানা নেই নোবিপ্রবি: উপাচার্য

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নতুন কিছু প্রবর্তনের নির্দিষ্ট কোনো ভৌগোলিক সীমানা নেই এবং এটা সবার জন্য বিশ্বজনীন হওয়া উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল। 

আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৪) আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের আয়োজনে ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। এসময় তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন সৃষ্টিতে ভবিষ্যতের স্থায়িত্বের উপর গুরুত্বারোপ করেন। 
 
আইআইইউসির কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ইনোভেশন্স ইন সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন আইআইইউসি ভাইস-চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী। এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আইআইইউসি’র সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর ও প্রফেসর এমিরেটাস প্রফেসর ড. এ কে এম আজহারুল ইসলাম, আইআইইউসি’র ট্রেজারার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানসহ আই ট্রিপল ই বাংলাদেশ সেকশনের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মশিউল হক প্রমুখ। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ দেলাওয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোহাম্মদ শামসুল আলম ও কমিটির সদস্য সচিব ড. মুহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল শুরুতে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবে জীবন উৎসর্গকারী শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এসময় তিনি বলেন, এ ধরনের কনফারেন্স পৃথিবীর বহু দেশের গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পন্ডিতদের একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়। আজকের সায়েন্স কনফারেন্সও বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলের সর্বক্ষেত্রের নতুন ধারণা, সাম্প্রতিক ফলাফল এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কে মতবিনিময়ের দারুণ সুযোগ করে দিয়েছে। দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, গবেষকদের এই সমাবেশ আমাদের নিজেদের মাঝে মেধা ও অভিজ্ঞতার বিনিময় করার বিশাল সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, যৌথ উদ্যোগের ক্ষমতা অনেক বেশি। যৌথ উদ্যোগে যে কোনো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বৈশ্বিক উষ্ণতা ও কোভিডের কথা উল্লেখ করেন। 

প্রসঙ্গত, এবারের সায়েন্স কনফারেন্সে দেশের হয়ে ৬২টি সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নেবে। আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমেরিকা, জাপান, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, মালয়েশিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, হল্যান্ড, নরওয়ে, হাঙ্গেরি ও সৌদি আরবসহ ১৯টি দেশের ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষক ও প্রতিনিধিগণ অংশ নেবে। এই কনফারেন্সে প্রাপ্ত ৪৯৮ টি প্রবন্ধের মধ্যে ১৫৬টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে। এ ছাড়া ১৫টি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
নবীনতর পূর্বতন