গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে উত্তাল ইবি


সংগীত কুমার, ইবি প্রতিনিধি
: ফিলিস্তিন, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। বর্বর এই হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে শুক্রবার (২১ মার্চ) জুম্মার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে গিয়ে— “নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার!” “বিশ্বের মুসলিম, এক হও লড়াই করো!” “ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন!” “একশান টু একশান, ডাইরেক্ট একশান!” “বদরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার!” “উহুদের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার!” “জিহাদ, জিহাদ, জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাঁচতে চাই!” “ফিলিস্তিনের কারণে, ভয় করিনা মরণে!” “বয়কট, বয়কট, ইসরায়েল বয়কট!” “রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়!” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, “ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর আক্রমণে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছেন। যারা মানবতার কথা বলে, তারাই আজ বর্বরতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পশ্চিমা মানবতাবাদীরা সব জায়গায় মানবতার ফাঁকা বুলি আওড়ান, অথচ ফিলিস্তিনের বেলায় তাদের মানবতা কাজ করে না। ফিলিস্তিনিদের এই ন্যায্য অধিকারের বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করছে না। অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান ইসরায়েলি বর্বর হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। এই নির্মম গণহত্যা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতাদের অবশ্যই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।”

বক্তারা আরও বলেন, “এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা সুন্দরভাবে চলাফেরা করতে পারলেও আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনেরা সাহরি ও ইফতারটাও স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারছে না। তাদের ঘুম ভাঙে বোমার আওয়াজে। বিশ্ব মুসলিম নেতাদের বলতে চাই, আমরা সাধারণ মুসলিমরা প্রস্তুত আছি, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হন এবং ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ান। এই আক্রমণ অবশ্যই ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে। জানুয়ারির যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি ছিল প্রতারণার অংশ। সেই চুক্তি ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধের গতি দমিয়ে দিয়েছে। বিশ্ব মুসলমানদের আহ্বান জানাই—আসুন, আমরা এক হই, ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াই।”

শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করেন।

নবীনতর পূর্বতন