হঠাৎ ‘জিবলি স্টাইল’ নিয়ে হুলস্থুল কেন?


গত কয়েকদিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে তৈরি এক ধরনের শিল্পকর্ম বা আর্টনেট দুনিয়ায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই শিল্পকর্মগুলো বিখ্যাত অ্যানিমেশন স্টুডিও ‘স্টুডিও জিবলি’র শৈলী অনুকরণ করে তৈরি করা হয়েছে, তাই এগুলোকে ‘জিবলি স্টাইল’ বা ‘স্টুডিও জিবলি আর্ট’ বলা হচ্ছে। 

জানা যায়, ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইলে এই ধরনের একটি ছবি ব্যবহার করার পর থেকেই এটি বিশ্বব্যাপী নেটিজেনদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলে। 

ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটির নতুন সংস্করণে এই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে, তবে এটি শুধু প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য। অবশ্য চ্যাটজিপিটি ছাড়াও অনেক বিনামূল্যের এআই টুল ব্যবহার করে এই ধরনের ছবি তৈরি করা সম্ভব। ব্যবহারকারীরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে জিবলি স্টাইলের ছবি তৈরি করছেন।

তবে এই প্রযুক্তি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে একটি প্রশ্ন উঠেছে: এভাবে যদি মেশিন সব শিল্পকর্ম নকল করতে শুরু করে, তাহলে একজন শিল্পীর মূল্য কি থাকবে? কারণ, একজন শিল্পী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে নিখুঁতভাবে একটি শিল্পকর্ম তৈরি করেন। যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেই সৃজনশীল কাজ নকল করতে শুরু করে, তখন তা শিল্পীর প্রতি অপমানজনক হয়ে দাঁড়ায়। 

স্টুডিও জিবলির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং বিখ্যাত জাপানি অ্যানিমেটর হায়াও মিয়াজাকিও এই প্রযুক্তির বিরোধিতা করেছেন। ২০১৬ সালে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এসব দেখে কোনো আগ্রহ পাই না। এটি জীবনের প্রতি এক ধরনের অপমান।’

মিয়াজাকির এই মন্তব্যের পর শিল্পী ও প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে প্রবল বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ শিল্পী ও শিল্পপ্রেমী মানুষজন মিয়াজাকির এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন, আবার কেউ কেউ প্রযুক্তির এই ধরনের বিকাশকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করার পক্ষে মত দিয়েছেন।

Cookie Consent
We serve cookies on this site to optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.