বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদানকারী প্ল্যাটফর্ম ‘জ্ঞানকুঠির’: রাবি শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদানকারী প্ল্যাটফর্ম ‘জ্ঞানকুঠির’: রাবি শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদানকারী প্ল্যাটফর্ম ‘জ্ঞানকুঠির’: রাবি শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষাদানকারী প্ল্যাটফর্ম ‘জ্ঞানকুঠির’—একটি অনন্য শিক্ষণীয় কমিউনিটি, যা নবম-দশম ও কলেজ পর্যায়ের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য অফলাইন ও অনলাইন উভয় মাধ্যমে পাঠদানের সুযোগ করে দেবে।

‘জ্ঞানকুঠির’ মূলত মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শিক্ষা সহায়ক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বাংলা, ইংরেজি, গণিতসহ মানবিক বিভাগের সকল বিষয়ের পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন প্রদান করা হবে। উদ্যোক্তারা বলেন,
"জ্ঞানই শক্তি, তবে তা তখনই কার্যকরী হয়, যখন তা সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়। ‘জ্ঞানকুঠির’ শিক্ষার্থীদের সেই সঠিক পথ দেখাবে, সৃজনশীল চিন্তার অনুপ্রেরণা দেবে এবং বাস্তব জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।"

এক সাক্ষাৎকারে ‘জ্ঞানকুঠির’-এর অন্যতম উদ্যোক্তা মোঃ স্বাধীন খন্দকার(লোকপ্রশাসন বিভাগ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) বলেন,
"আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র একাডেমিক জ্ঞান বিতরণ করা নয়, বরং শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও বাস্তব জীবনে সফলতার জন্য প্রস্তুত করা। ইনশাআল্লাহ, আমরা এটি দেশব্যাপী বিস্তৃত করতে চাই, যাতে মানবিক বিভাগের প্রতিটি শিক্ষার্থী তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষণীয় গাইডলাইন পেতে পারে।"

মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ( আইন বিভাগ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) জানান,
"এখানে আমরা শিক্ষার্থীদের এমন জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করব, যা তাদের জীবনে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে।"

অন্যদিকে, মোঃ আল-আমিন ইসলাম ( আইন বিভাগ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়) বলেন,
"‘জ্ঞানকুঠির’ কেবল একটি শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং এটি হবে এমন একটি কমিউনিটি যেখানে শিক্ষার্থীরা একে অপরের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারবে, আলোচনা করতে পারবে এবং পারস্পরিক শেখার মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা উন্নত করতে পারবে।"

‘জ্ঞানকুঠির’-এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মোঃ স্বাধীন খন্দকার জানান,
"আল্লাহর রহমতে, আমরা এই প্ল্যাটফর্মকে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চাই, যাতে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি সর্বজনীন শিক্ষণীয় প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়।"

তিনি আরও বলেন,
"আমাদের বন্ধুদের অনেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থীদের কাছেও ‘জ্ঞানকুঠির’-এর শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।"

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তারা চান মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেন তাদের সম্ভাবনার শিখরে পৌঁছাতে পারে এবং আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্বগুণ ও বহুমুখী দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এখানে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনা, সমস্যা সমাধান দক্ষতা ও বাস্তব জীবনে প্রয়োগযোগ্য জ্ঞান অর্জন করবে।

‘জ্ঞানকুঠির’ খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে, যা মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। উদ্যোক্তারা বলেন,
"সফলতা সবার অধিকার, আর ‘জ্ঞানকুঠির’ সেই সফলতার পথে শিক্ষার্থীদের সহযাত্রী হয়ে থাকবে।"

এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ যে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলবে, সে বিষয়ে উদ্যোক্তারা অত্যন্ত আশাবাদী।
Cookie Consent
We serve cookies on this site to optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.