বশেমুরবিপ্রবিতে বাংলা বিভাগের উদ্যোগে পিঠা উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত


বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত পিঠা উৎসব-২০২৫।

২১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে (নৌকা সংলগ্ন) এ উৎসব শুরু হয়। এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো "বাংলার পিঠা জমবে শীতে, পিঠাপুলির মহোৎসবে"।

প্রতিবছর বাংলা বিভাগের আয়োজনে এ পিঠা উৎসব ক্যাম্পাসে বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক ব্যতিক্রমী উদযাপন হিসেবে পরিচিত। এ বছরও উৎসবে পাওয়া যায় নানান রকমের ঐতিহ্যবাহী পিঠা। উৎসবের আকর্ষণের তালিকায় রয়েছে পাটিসাপটা, দুধপুলি, চান্দোশা, ঝাঁঝ লবঙ্গ, গাজরের হালুয়া, জামাই আদর, চাপাবাজ, দুধসাগর, লজ্জাবতী জর্দা, রং বাহার, শিলা কি জাওয়ানী, পাখি নীড়, কাঠ গোলাপ, প্রেম লাড্ডু, পুলি পিঠা, হৃদয় হরণ, রাইকমল, অমৃতসাগর, টেস্টি রোল, মাংসের পুলি, নকশি পিঠা, পায়েস, ডাবের পুডিং, নারকেল পুলি, সুজির বুর্ফি, কিস পিঠা, ভণ্ড পিঠা, যৌবন পিঠা, সেমাই পিঠা, জুনিয়র পটানো পিঠা, চকোলেট কেক, সূর্যমুখী, সিনিয়র পটানো পিঠা, কলা পিঠা, মনসুন্দর পিঠা, হৃদয়হরণী, C.G.P.A বৃদ্ধি পিঠা।


আদিবাসী স্টলে ছিলো কলাপিঠা, বিনি হোয়া, মুরগী ভর্তা, ব্যাম্বো চিকেন, চিকেন মুন্ডি ও পেঞ্জারার মতো ভিন্নধর্মী স্বাদের খাবার।


উৎসবের স্টলগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে নজর কাড়ে অনিন্দ্য পিঠাঘর, স্বাদ বিলাস, পিঠা সরোবর, অজানা স্বাদ পিঠা, পিঠা বিলাস, রসময়ী পিঠা ভান্ডার, ক্ষুধার্ত হাঁস, অবাক জ্যোৎস্না, বুনোফুল (আদিবাসী স্টল), কুয়াশা ও কবিতা পিঠাঘর এবং রসের হাঁড়ি পিঠাভান্ডার।

পিঠা উৎসব পরিদর্শন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোহেল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ ফায়েকুজ্জামান, প্রক্টরিয়াল বডি সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। সকলে পিঠা উৎসব নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বিভিন্ন স্টল থেকে পিঠা খান।

বাংলা বিভাগের আয়োজকরা জানিয়েছেন, পিঠা উৎসবের মূল লক্ষ্য বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও খাবারের স্বাদ নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এ আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের মাঝে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হবে এবং বাঙালির শীতকালীন উৎসবের ঐতিহ্য আরও জোরদার হবে।

দর্শনার্থী ও ক্রেতারা জানান, বাংলা বিভাগ প্রতিবছর এ আয়োজন করে থাকে। পিঠার দাম ও মান নিয়েও তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন। 

বাংলা বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান সাগর বলেন, পিঠা উৎসব বাঙালির সংস্কৃতি, প্রাচীন কাল থেকেই গ্রাম-গঞ্জে এই উৎসব হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের বাংলা বিভাগে প্রতিবছর পিঠা উৎসব করা হয়। উৎসবের পাশাপাশি দিনটি শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এবার ৬টি ব্যাচ থেকে ১২টি সহ মোট ১৭টি স্টল করা হয়েছে। প্রায় ৫০-৬০ রকমের পিঠা বানানো হয়েছে। 

এছাড়াও ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে তিনি আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এবং পিঠা উৎসবের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

দিনব্যাপী পিঠা উৎসব শেষে সন্ধ্যায় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা লোকগান পরিবেশন করেন।

নবীনতর পূর্বতন